5. দায়ূদ ও ইস্রায়েল জাতির সমস্ত লোক সদাপ্রভুর সামনে দেবদারু কাঠের তৈরী সব বাজনা আর সুরবাহার, বীণা, খঞ্জনী, ঝুম্ঝুমি ও করতাল বাজিয়ে আনন্দ করছিল।
6. নাখোনের খামারের কাছে আসলে পর গরু দু’টা উছোট খেল; তখন উষ হাত বাড়িয়ে ঈশ্বরের সিন্দুকটা ধরল।
7. উষের এই ভক্তিহীন কাজের জন্য তার উপর সদাপ্রভু ক্রোধে জ্বলে উঠলেন। সেইজন্য সদাপ্রভু তাকে আঘাত করলেন, আর তাতে সে সদাপ্রভুর সিন্দুকের পাশে মরে গেল।
8. উষের উপর সদাপ্রভুর এই ক্রোধ দেখে দায়ূদ অসন্তুষ্ট হলেন। আজও সেই জায়গাটাকে বলা হয় পেরস-উষ।
9. দায়ূদ সেই দিন সদাপ্রভুকে খুব ভয় করলেন। তিনি বললেন, “সদাপ্রভুর সিন্দুকটি তবে কি করে আমার কাছে আনা যাবে?”
10. সদাপ্রভুর সিন্দুকটি তিনি দায়ূদ-শহরে নিজের কাছে নিয়ে আসতে রাজী হলেন না। তিনি সেটি নিয়ে গাতীয় ওবেদ-ইদোমের বাড়ীতে রাখলেন।
11. গাতীয় ওবেদ-ইদোমের বাড়ীতে সদাপ্রভুর সিন্দুকটি তিন মাস রইল। এতে সদাপ্রভু তাকে ও তার বাড়ীর সবাইকে আশীর্বাদ করলেন।
12. রাজা দায়ূদ শুনতে পেলেন ঈশ্বরের সিন্দুকটি ওবেদ-ইদোমের বাড়ীতে থাকবার দরুন সদাপ্রভু তার বাড়ীর সবাইকে এবং তার সব কিছুকে আশীর্বাদ করেছেন। তখন দায়ূদ গিয়ে ওবেদ-ইদোমের বাড়ী থেকে আনন্দ করতে করতে ঈশ্বরের সিন্দুকটি দায়ূদ-শহরে নিয়ে আসলেন।
13. যারা সদাপ্রভুর সিন্দুকটি বয়ে নিয়ে আসছিল তারা ছয় পা এগিয়ে যেতেই দায়ূদ একটা বলদ ও একটা মোটাসোটা বাছুর উৎসর্গ করলেন।
14. দায়ূদ মসীনার এফোদ পরে সদাপ্রভুর সামনে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে নাচতে লাগলেন।
15. এইভাবে দায়ূদ ও ইস্রায়েলীয়েরা সকলে আনন্দে চিৎকার করতে করতে এবং তূরী বাজাতে বাজাতে সদাপ্রভুর সিন্দুকটি নিয়ে আসলেন।