20. আমি জানি যে, আমি পাপ করেছি। সেইজন্য আজ যোষেফের বংশের মধ্যে আমিই সকলের আগে আমার প্রভু মহারাজের সংগে দেখা করবার জন্য এখানে এসেছি।”
21. তখন সরূয়ার ছেলে অবীশয় বললেন, “সদাপ্রভুর অভিষেক করা লোককে শিমিয়ি অভিশাপ দিয়েছিল বলে কি তাকে মেরে ফেলা উচিত নয়?”
22. উত্তরে দায়ূদ বললেন, “হে সরূয়ার ছেলেরা, এই বিষয়ে তোমাদের সংগে আমার সম্বন্ধ কি? আজ কেন তোমরা আমার বিরুদ্ধে যাচ্ছ? আজ কি ইস্রায়েলে কাউকে মেরে ফেলা উচিত? আমি কি এই কথা জানি না যে, আজও আমি ইস্রায়েলীয়দের রাজা?”
23. তারপর রাজা প্রতিজ্ঞা করে শিমিয়িকে বললেন, “তোমাকে মেরে ফেলা হবে না।”
24. এর পর শৌলের নাতি মফীবোশৎ রাজার সংগে দেখা করবার জন্য আসল। রাজা চলে যাবার পর থেকে তাঁর নিরাপদে ফিরে আসবার দিন পর্যন্ত সে নিজের পায়ের যত্ন করে নি, দাড়ি ছাঁটে নি এবং কাপড়-চোপড়ও ধোয় নি।
25. রাজা যিরূশালেমে ফিরে আসলে পর মফীবোশৎ তাঁর সংগে দেখা করবার জন্য আসল। তখন রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মফীবোশৎ, তুমি আমার সংগে কেন গেলে না?”
26. সে বলল, “আমার প্রভু মহারাজ, আপনার দাস আমি খোঁড়া, তাই বলেছিলাম, ‘আমার গাধার উপর গদি চাপিয়ে আমি তার উপরে চড়ে রাজার সংগে যাব।’ কিন্তু আমার চাকর সীবঃ আমার সংগে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।
27. আমার প্রভু মহারাজের কাছে সে আমার দুর্নাম করেছে। আমার প্রভু মহারাজ ঈশ্বরের একজন দূতের মত; তাই আমার উপর আপনার যা খুশী তা-ই করুন।
28. আমার দাদুর বংশধরেরা আমার প্রভু মহারাজের কাছে মৃত্যুর উপযুক্ত, কিন্তু তবুও আপনার যে লোকেরা আপনার টেবিলে খেতে বসে আপনি আপনার এই দাসকেও তাদের মধ্যে একটা জায়গা দিয়েছিলেন। তাহলে মহারাজের কাছে আর অনুরোধ করবার আমার কি অধিকার আছে?”
29. রাজা তাকে বললেন, “তোমার আর কিছু বলবার দরকার নেই। তুমি আর সীবঃ জমাজমি ভাগ করে নাও।”
30. মফীবোশৎ রাজাকে বলল, “সে-ই সব কিছু নিক। আমার প্রভু মহারাজ নিরাপদে বাড়ী ফিরে এসেছেন সেটাই আমার পক্ষে যথেষ্ট।”
31. রাজা যিরূশালেমে ফিরে আসবার আগে গিলিয়দীয় বর্সিল্লয় রোগলীম থেকে এসে রাজাকে বিদায় দেবার জন্য তাঁর সংগে যর্দনের পারে এসেছিলেন।
32. বর্সিল্লয় খুব বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন; তাঁর বয়স ছিল আশি বছর। রাজা যখন মহনয়িমে ছিলেন তখন তিনিই তাঁর জন্য খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন, কারণ তিনি খুব ধনী লোক ছিলেন।
33. রাজা বর্সিল্লয়কে বললেন, “আমার সংগে পার হয়ে এসে যিরূশালেমে আমার কাছে থাকুন। আমিই আপনাকে পালন করব।”
34. কিন্তু উত্তরে বর্সিল্লয় রাজাকে বললেন, “আমি আর কয় বছরই বা বাঁচব যে, আমি রাজার সংগে যিরূশালেমে যাব?
35. আমার বয়স এখন আশি বছর। কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ তা কি এখন আর আমি বলতে পারি? আপনার দাস আমি এখন যা খাই তার স্বাদ কি আমি বুঝতে পারি? গায়ক-গায়িকাদের গান কি আমি এখনও শুনতে পাই? আপনার এই দাস কেন আমার প্রভু মহারাজের একটা বাড়তি বোঝা হবে?
36. মহারাজ কেন আমাকে এইভাবে পুরস্কার দেবেন? না, না, আমি মাত্র আপনার সংগে যর্দন পার হয়ে যাব,
37. তারপর আমাকে ফিরে যেতে দিন যাতে আমি নিজের বাড়ীতে আমার মা-বাবার কবরের কাছে মরতে পারি। এই দেখুন, আপনার দাস কিম্হম; সে-ই আপনার সংগে যর্দন পার হয়ে যাক। আপনার যা ভাল বলে মনে হয় তার প্রতি আপনি তা-ই করবেন।”