5. কিন্তু তাঁরা জিদ করে বলতে লাগলেন, “যিহূদিয়া প্রদেশের সব জায়গায় শিক্ষা দিয়ে এ লোকদের ক্ষেপিয়ে তুলছে। গালীল প্রদেশ থেকে সে শুরু করেছে, আর এখন এখানে এসেছে।”
6. এই কথা শুনে পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন যীশু গালীল প্রদেশের লোক কি না।
7. শাসনকর্তা হেরোদের শাসনের অধীনে যে প্রদেশ আছে, যীশু সেই জায়গার লোক জানতে পেরে পীলাত তাঁকে হেরোদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। সেই সময় হেরোদও যিরূশালেমে ছিলেন।
8. যীশুকে দেখে হেরোদ খুব খুশী হলেন। তিনি যীশুর সম্বন্ধে অনেক কথা শুনেছিলেন, তাই তিনি অনেক দিন ধরে তাঁকে দেখতে চাইছিলেন। হেরোদ আশা করেছিলেন যীশু তাঁকে কোন আশ্চর্য কাজ করে দেখাবেন।
9. তিনি যীশুকে অনেক প্রশ্ন করলেন, কিন্তু যীশু কোন কথারই উত্তর দিলেন না।
44-45. তখন বেলা প্রায় দুপুর। সূর্য আলো দেওয়া বন্ধ করল এবং সারা দেশ অন্ধকার হয়ে গেল। বেলা তিনটা পর্যন্ত সেই রকমই রইল। যিরূশালেমের উপাসনা-ঘরের পর্দাটা মাঝখানে চিরে দু’ভাগ হয়ে গেল।
46. যীশু চিৎকার করে বললেন, “পিতা, আমি তোমার হাতে আমার আত্মা তুলে দিলাম।” এই কথা বলে তিনি প্রাণত্যাগ করলেন।
47. এই সব দেখে রোমীয় শত-সেনাপতি ঈশ্বরের গৌরব করে বললেন, “সত্যিই লোকটি নির্দোষ ছিল।”
48. যে লোকেরা সেখানে জড়ো হয়েছিল তারা এই সমস্ত ঘটনা দেখে বুক চাপ্ড়াতে চাপ্ড়াতে সেখান থেকে ফিরে গেল।
49. যাঁরা যীশুকে চিনতেন এবং যে স্ত্রীলোকেরা গালীল থেকে তাঁর সংগে সংগে এসেছিলেন তাঁরা সবাই দূরে দাঁড়িয়ে সব কিছু দেখছিলেন।
50. যোষেফ নামে একজন সৎ ও ধার্মিক লোক মহাসভার সভ্য ছিলেন। তিনি অরিমাথিয়া নামে যিহূদীদের একটা গ্রামের লোক।
51. যীশুর বিষয়ে সভার লোকদের সংগে তিনি একমত হতে পারেন নি। তিনি ঈশ্বরের রাজ্যের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
52. পীলাতের কাছে গিয়ে তিনি যীশুর মৃতদেহটি চেয়ে নিলেন।
53. পরে দেহটি ক্রুশ থেকে নামিয়ে কাপড় দিয়ে জড়ালেন এবং পাথর কেটে তৈরী করা একটা কবরের মধ্যে রাখলেন। সেই কবরে আর কখনও কাউকে রাখা হয় নি।
54. সেই দিনটা ছিল বিশ্রামবারের আয়োজনের দিন। বিশ্রামবার প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছিল।
55. যে স্ত্রীলোকেরা যীশুর সংগে গালীল থেকে এসেছিলেন তাঁরা যোষেফের পিছনে পিছনে গিয়ে কবরটি দেখলেন এবং যীশুর দেহ কিভাবে রাখা হল তাও দেখলেন।
56. তারপর তাঁরা ফিরে গিয়ে তাঁর দেহের জন্য সুগন্ধি মশলা এবং মলম তৈরী করলেন। এর পরে তাঁরা মোশির আদেশ মত বিশ্রামবারে বিশ্রাম করলেন।