4. শীলোহের উঁচু ঘরটা পড়ে যাওয়ার দরুন যে আঠারোজনের মৃত্যু হয়েছিল, আপনাদের কি মনে হয় যে, যিরূশালেমের বাকী লোকদের চেয়ে তাদের বেশী দোষ ছিল?
5. আমি আপনাদের বলছি, তা নয়, কিন্তু পাপ থেকে মন না ফিরালে আপনারাও সবাই বিনষ্ট হবেন।”
6. তারপর শিক্ষা দেবার জন্য যীশু এই কথা বললেন: “কোন একজন লোকের ফলের বাগানে একটা ডুমুর গাছ লাগানো হয়েছিল। একবার তিনি এসে ফলের খোঁজ করলেন কিন্তু পেলেন না।
7. তখন তিনি মালীকে বললেন, ‘দেখ, তিন বছর ধরে এই ডুমুর গাছে আমি ফলের খোঁজ করছি কিন্তু কিছুই পাচ্ছি না। এইজন্য তুমি গাছটা কেটে ফেল। কেন এটা শুধু শুধু জমি নষ্ট করবে?’
8. মালী উত্তর দিল, ‘হুজুর, এই বছরও ওটা থাকতে দিন। আমি ওটার চারপাশে খুঁড়ে সার দেব।
9. তারপর যদি ফল ধরে তো ভাল তা না হলে আপনি ওটা কেটে ফেলবেন।’ ”
10. কোন এক বিশ্রামবারে যীশু একটা সমাজ-ঘরে শিক্ষা দিচ্ছিলেন।
11. সেখানে এমন একজন স্ত্রীলোক ছিল যাকে একটা মন্দ আত্মা আঠারো বছর ধরে অসুখে ভোগাচ্ছিল। সে কুঁজা ছিল এবং একেবারেই সোজা হতে পারত না।
12. যীশু তাকে দেখলেন এবং তাকে কাছে ডেকে বললেন, “মা, তোমার অসুখ থেকে তুমি মুক্ত হলে।”
13. এই কথা বলে যীশু তার উপর হাত রাখলেন, আর তখনই সে সোজা হয়ে দাঁড়াল এবং ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল।
14. যীশু বিশ্রামবারে সুস্থ করেছেন বলে সমাজ-ঘরের নেতা বিরক্ত হয়ে লোকদের বললেন, “কাজ করবার জন্য ছয় দিন তো আছেই। সেইজন্য বিশ্রামবারে না এসে ঐ ছয় দিনের মধ্যে এসে সুস্থ হয়ো।”
15. তখন প্রভু সেই নেতাকে বললেন, “আপনারা ভণ্ড! বিশ্রামবারে আপনারা সবাই কি আপনাদের বলদ বা গাধাকে গোয়াল ঘর থেকে খুলে জল খাওয়াতে নিয়ে যান না?
16. তবে অব্রাহামের বংশের এই যে স্ত্রীলোকটিকে আঠারো বছর ধরে শয়তান বেঁধে রেখেছিল, সেই বাঁধন থেকে বিশ্রামবারে কি তাকে মুক্ত করা উচিত নয়?”