16. যীশু আবার তাঁর শিষ্যদের বললেন, “যারা তোমাদের কথা শোনে তারা আমারই কথা শোনে। যারা তোমাদের অগ্রাহ্য করে তারা আমাকেই অগ্রাহ্য করে। যারা আমাকে অগ্রাহ্য করে, আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন তারা তাঁকেই অগ্রাহ্য করে।”
17. সেই সত্তরজন শিষ্য আনন্দের সংগে ফিরে এসে বললেন, “প্রভু, আপনার নাম করে বললে মন্দ আত্মারা পর্যন্ত আমাদের কথা শোনে।”
18. যীশু তাঁদের বললেন, “আমি শয়তানকে স্বর্গ থেকে বিদ্যুৎ চম্কাবার মত করে পড়ে যেতে দেখেছি।
19. দেখ, আমি তোমাদের সাপ ও বিছার উপর দিয়ে হেঁটে যাবার ক্ষমতা দিয়েছি এবং তোমাদের শত্রু শয়তানের সমস্ত শক্তির উপরেও ক্ষমতা দিয়েছি। কোন কিছুই তোমাদের ক্ষতি করবে না।
20. কিন্তু মন্দ আত্মারা তোমাদের কথা শোনে বলে আনন্দিত হয়ো না বরং স্বর্গে তোমাদের নাম লেখা হয়েছে বলে আনন্দিত হয়ো।”
21. তখন যীশু পবিত্র আত্মার দেওয়া আনন্দে আনন্দিত হয়ে বললেন, “হে পিতা, তুমি স্বর্গ ও পৃথিবীর প্রভু। আমি তোমার গৌরব করি, কারণ তুমি এই সব বিষয় জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানদের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছ কিন্তু শিশুর মত লোকদের কাছে প্রকাশ করেছ। হ্যাঁ পিতা, তোমার ইচ্ছামতই এটা হয়েছে।
22. “আমার পিতা আমার হাতে সব কিছুই দিয়েছেন। পিতা ছাড়া আর কেউ জানে না পুত্র কে, আবার পুত্র ছাড়া আর কেউ জানে না পিতা কে। এছাড়া পুত্র যার কাছে পিতাকে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করেন কেবল সে-ই জানে।
23. পরে তিনি শিষ্যদের দিকে ফিরে তাঁদের গোপনে বললেন, “তোমরা যা যা দেখছ, তা যারা দেখতে পায় তারা ধন্য।
24. আমি তোমাদের বলছি, তোমরা যা যা দেখছ, অনেক নবী ও রাজা তা দেখতে চেয়েও দেখতে পান নি; আর তোমরা যা যা শুনছ, তা শুনতে চেয়েও শুনতে পান নি।”
25. একবার একজন ধর্ম-শিক্ষক যীশুর কাছে আসলেন। যীশুকে পরীক্ষা করবার জন্য সেই শিক্ষক বললেন, “গুরু, কি করলে আমি অনন্ত জীবন লাভ করতে পারব?”
26. যীশু তাঁকে বললেন, “মোশির আইন-কানুনে কি লেখা আছে? সেখানে কি পড়েছেন?”
27. সেই ধর্ম-শিক্ষক যীশুকে উত্তর দিলেন, “তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের সমস্ত অন্তর, সমস্ত প্রাণ, সমস্ত শক্তি ও সমস্ত মন দিয়ে তোমাদের প্রভু ঈশ্বরকে ভালবাসবে; আর তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে।”
28. যীশু তাঁকে বললেন, “আপনি ঠিক উত্তর দিয়েছেন। যদি আপনি তা করতে থাকেন তবে জীবন পাবেন।”
29. সেই শিক্ষক নিজের সম্মান রক্ষা করবার জন্য যীশুকে বললেন, “আমার প্রতিবেশী কে?”
30. যীশু উত্তর দিলেন, “একজন লোক যিরূশালেম থেকে যিরীহো শহরে যাবার সময় ডাকাতদের হাতে পড়ল। তারা লোকটির কাপড় খুলে ফেলল এবং তাকে মেরে আধমরা করে রেখে গেল।
31. পরে একজন পুরোহিত সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি সেই লোকটিকে দেখে পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন।
32. ঠিক সেইভাবে একজন লেবীয় সেই জায়গায় আসল এবং তাকে দেখতে পেয়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেল।
33. তারপর শমরিয়া প্রদেশের একজন লোকও সেই পথ দিয়ে যেতে যেতে ঐ লোকটির কাছাকাছি আসল। তাকে দেখে তার মমতা হল।
34. লোকটির কাছে গিয়ে সে তার আঘাতের উপর তেল আর আংগুর-রস ঢেলে দিয়ে বেঁধে দিল। তারপর তার নিজের গাধার উপর তাকে বসিয়ে একটা হোটেলে নিয়ে গিয়ে তার সেবা-যত্ন করল।
35. পরের দিন সেই শমরীয় দু’টা দীনার বের করে হোটেলের মালিককে দিয়ে বলল, ‘এই লোকটিকে যত্ন করবেন। যদি এর চেয়ে বেশী খরচ হয় তবে আমি ফিরে এসে তা শোধ করব।’ ”