10. উত্তরে ফরৌণ বললেন, “তবে সেটা কালকেই হোক।”মোশি বললেন, “তা-ই হবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মত কেউ নেই।
11. ব্যাঙগুলো আপনাকে এবং আপনার বাড়ী-ঘর, আপনার কর্মচারী ও আপনার লোকদের ছেড়ে চলে যাবে। সেগুলো কেবল নীল নদীর মধ্যেই থাকবে।”
12. এই কথা বলে মোশি ও হারোণ ফরৌণের কাছ থেকে চলে গেলেন। ফরৌণের উপর সদাপ্রভু যে ব্যাঙের উৎপাত এনেছিলেন সেই সম্বন্ধে মোশি সদাপ্রভুর কাছে কান্নাকাটি করলেন।
13. তখন সদাপ্রভু তাঁর কথামতই কাজ করলেন। ঘর-বাড়ি, উঠান ও জায়গা-জমিতে যত ব্যাঙ ছিল সব মরে গেল।
14. লোকেরা সেগুলো এনে নানা জায়গায় জড়ো করল আর তাতে দেশের মধ্যে এক ভীষণ দুর্গন্ধের সৃষ্টি হল।
15. কিন্তু ব্যাঙের উৎপাত থেকে রেহাই পেয়ে ফরৌণ আবার তাঁর মন শক্ত করে মোশি ও হারোণের কথা শুনলেন না। সদাপ্রভু যা বলেছিলেন তা-ই হল।
16. তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “হারোণকে তার লাঠি তুলে মাটিতে ধূলার উপর আঘাত করতে বল। তাতে সেই ধূলা মশা হয়ে সারা মিসর দেশটা ছেয়ে ফেলবে।”
17. হারোণ ও মোশি তা-ই করলেন। হারোণ তাঁর হাতখানা বাড়িয়ে লাঠি দিয়ে মাটিতে ধূলার উপর আঘাত করলেন আর তাতে মানুষ ও পশুর উপর মশার উৎপাত দেখা দিল। মিসর দেশের সমস্ত ধূলাই মশা হয়ে গেল।
18. যাদুকরেরা তাদের যাদুমন্ত্রের জোরে মশা নিয়ে আসবার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। মানুষ এবং পশুর উপর মশা বসতে লাগল।
19. এই অবস্থা দেখে যাদুকরেরা ফরৌণকে বলল, “এতে ঈশ্বরের আংগুলের ছোঁয়া রয়েছে।” কিন্তু তবুও ফরৌণের মন কঠিনই রয়ে গেল; তিনি মোশি ও হারোণের কথায় কান দিলেন না। সদাপ্রভু যা বলেছিলেন তা-ই হল।