3. এ কি সেই ছুতার মিস্ত্রি নয়? এ কি মরিয়মের ছেলে নয়? যাকোব, যোষেফ, যিহূদা ও শিমোনের ভাই নয়? তার বোনেরা কি এখানে আমাদের মধ্যে নেই?” এইভাবে যীশুকে নিয়ে লোকদের মনে বাধা আসতে লাগল।
4. তখন যীশু তাদের বললেন, “নিজের গ্রাম, নিজের আত্মীয়-স্বজন ও নিজের বাড়ী ছাড়া আর সব জায়গাতেই নবীরা সম্মান পান।”
5. তারপর তিনি কয়েকজন অসুস্থ লোকের উপর হাত রেখে তাদের সুস্থ করলেন, কিন্তু সেখানে আর কোন আশ্চর্য কাজ করা সম্ভব হল না।
6. লোকেরা তাঁকে বিশ্বাস করল না দেখে তিনি খুব আশ্চর্য হলেন।এর পরে যীশু গ্রামে গ্রামে গিয়ে লোকদের শিক্ষা দিতে লাগলেন।
7. পরে তিনি তাঁর সেই বারোজন শিষ্যকে নিজের কাছে ডাকলেন এবং প্রচার করবার জন্য দু’জন দু’জন করে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি মন্দ আত্মাদের উপরে তাঁদের ক্ষমতা দিলেন।
8. যাত্রাপথের জন্য একটা লাঠি ছাড়া আর কিছুই তিনি শিষ্যদের নিতে দিলেন না। রুটি, থলি, কোমর-বাঁধনিতে পয়সা পর্যন্ত নিতে তিনি তাঁদের বারণ করলেন।
9. তিনি তাঁদের জুতা পরতে বললেন বটে, কিন্তু একটার বেশী জামা পরতে নিষেধ করলেন।
27-28. তিনি তখনই যোহনের মাথা কেটে আনবার জন্য একজন জল্লাদকে হুকুম দিলেন। সেই জল্লাদ জেলখানায় গিয়ে যোহনের মাথা কেটে একটা থালায় করে তা নিয়ে আসল। রাজা সেটা মেয়েটিকে দিলে পর সে তা নিয়ে গিয়ে তার মাকে দিল।
29. এই খবর পেয়ে যোহনের শিষ্যেরা এসে তাঁর দেহটা নিয়ে গিয়ে কবর দিলেন।
30. যীশু যে বারোজন শিষ্যকে পাঠিয়েছিলেন তাঁরা ফিরে আসলেন এবং যা যা করেছিলেন ও শিক্ষা দিয়েছিলেন সবই তাঁকে জানালেন।
31. সেই সময় অনেক লোক সেখানে যাওয়া-আসা করছিল বলে শিষ্যেরা কিছু খাওয়ার সুযোগও পেলেন না। সেইজন্য যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা আমার সংগে কোন একটা নির্জন জায়গায় এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম কর।”
32. তাঁরা নৌকায় করে একটা নির্জন জায়গায় গেলেন।