4. তখন মালিক আর একজন দাসকে তাদের কাছে পাঠালেন। চাষীরা তার মাথায় আঘাত করল এবং তার সংগে খুব খারাপ ব্যবহার করল।
5. তিনি তবুও আর একজনকে পাঠালেন। তাকে চাষীরা মেরে ফেলল। পরে তিনি আরও অনেকজনকে পাঠালেন, কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজনকে তারা মারধর করল আর অন্যদের মেরেই ফেলল।
6. “সেখানে পাঠাতে মালিকের মাত্র আর একজন বাকী ছিল। সে ছিল তাঁর প্রিয় পুত্র। তিনি সব শেষে পুত্রটিকে পাঠিয়ে দিলেন; ভাবলেন, ‘তারা অন্ততঃ আমার ছেলেকে সম্মান করবে।’
7. কিন্তু সেই চাষীরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, ‘এ-ই তো পরে সম্পত্তির মালিক হবে। চল, আমরা ওকে মেরে ফেলি, তাহলে আমরাই সম্পত্তির মালিক হব।’
8. তারা ছেলেটিকে ধরে মেরে ফেলল এবং আংগুর ক্ষেতের বাইরে ফেলে দিল।
9. “তাহলে বলুন দেখি, আংগুর ক্ষেতের মালিক কি করবেন? তিনি এসে সেই চাষীদের মেরে ফেলবেন এবং আংগুর ক্ষেতটা অন্যদের হাতে দেবেন।
35-36. যীশু উপাসনা-ঘরে শিক্ষা দেবার সময় জিজ্ঞাসা করলেন, “ধর্ম-শিক্ষকেরা কেমন করে বলেন মশীহ দায়ূদের বংশধর? দায়ূদ তো পবিত্র আত্মার পরিচালনায় বলেছেন,‘প্রভু আমার প্রভুকে বললেন,যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরতোমার পায়ের তলায় রাখি,ততক্ষণ তুমি আমার ডান দিকে বস।’
37. দায়ূদ নিজেই তো তাঁকে প্রভু বলেছেন, তবে কেমন করে মশীহ তাঁর বংশধর হতে পারেন?” অনেক লোক খুশী মনে যীশুর কথা শুনছিল।
38. শিক্ষা দিতে দিতে যীশু বললেন, “ধর্ম-শিক্ষকদের সম্বন্ধে সাবধান হও। তাঁরা লম্বা লম্বা জামা পরে বেড়াতে এবং হাটে-বাজারে সম্মান পেতে চান।
39. তাঁরা সমাজ-ঘরে প্রধান প্রধান আসনে ও ভোজের সময়ে সম্মানের জায়গায় বসতে চান।
40. এক দিকে তাঁরা লোককে দেখাবার জন্য লম্বা লম্বা প্রার্থনা করেন, অন্য দিকে বিধবাদের সম্পত্তি দখল করেন। এই লোকদের অনেক বেশী শাস্তি হবে।”
41. এর পর যীশু উপাসনা-ঘরের দান-বাক্সের কাছে বসে লোকদের টাকা-পয়সা দান করা লক্ষ্য করছিলেন। অনেক ধনী লোক অনেক টাকা-পয়সা দিল।
42. পরে একজন গরীব বিধবা এসে মাত্র দু’টা পয়সা রাখল।
43. তখন যীশু তাঁর শিষ্যদের ডেকে বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, এই গরীব বিধবা অন্য সবার চেয়ে অনেক বেশী এই দান-বাক্সে রাখল।
44. সেই লোকেরা তাদের প্রচুর ধন থেকে দান করেছে, কিন্তু এই স্ত্রীলোকটির অভাব থাকলেও বেঁচে থাকবার জন্য তার যা ছিল সমস্তই দিয়ে দিল।”