3. তোমরা ওটা খুলে এখানে নিয়ে এস। যদি কেউ তোমাদের জিজ্ঞাসা করে, ‘কেন তোমরা এটা করছ?’ তবে বোলো, ‘প্রভুর দরকার আছে; তিনি ওটাকে তাড়াতাড়ি করে ফিরিয়ে দেবেন।’ ”
4. তখন তাঁরা গিয়ে দেখলেন গাধার বাচ্চাটা রাস্তার উপর ঘরের দরজার কাছে বাঁধা আছে। তাঁরা যখন গাধাটার বাঁধন খুলছিলেন,
5. তখন যারা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল তারা বলল, “তোমরা কি করছ? গাধার বাচ্চাটা খুলছ কেন?”
6. যীশু যা বলতে বলেছিলেন শিষ্যেরা লোকদের তা-ই বললেন। তখন লোকেরা গাধাটা নিয়ে যেত দিল।
7. তাঁরা সেই গাধার বাচ্চাটা যীশুর কাছে এনে তার উপর তাঁদের গায়ের চাদর পেতে দিলেন। যীশু তার উপরে বসলেন।
8. অনেক লোক তাদের গায়ের চাদর রাস্তার উপরে বিছিয়ে দিল, আর অন্যেরা মাঠের গাছপালা থেকে পাতা সুদ্ধ ডাল কেটে এনে পথে ছড়িয়ে দিল।
9. যারা যীশুর সামনে ও পিছনে যাচ্ছিল তারা চিৎকার করে বলতে লাগল,“হোশান্না! প্রভুর নামে যিনি আসছেন তাঁর গৌরব হোক।
27-28. পরে যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা আবার যিরূশালেমে গেলেন। তিনি উপাসনা-ঘরে হেঁটে বেড়াচ্ছেন এমন সময় প্রধান পুরোহিতেরা, ধর্ম-শিক্ষকেরা ও বৃদ্ধ নেতারা তাঁর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোন্ অধিকারে এই সব করছ? কে তোমাকে এই অধিকার দিয়েছে?”
29. উত্তরে যীশু বললেন, “আমি আপনাদের একটা কথা জিজ্ঞাসা করব। আপনারা যদি আমাকে উত্তর দিতে পারেন তবে আমিও আপনাদের বলব আমি কোন্ অধিকারে এই সব করছি।
30. বলুন দেখি, বাপ্তিস্ম দেবার অধিকার যোহন ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছিলেন, না মানুষের কাছ থেকে পেয়েছিলেন?”
31. তখন তাঁরা নিজেদের মধ্যে এই আলোচনা করলেন, “আমরা যদি বলি, ‘ঈশ্বরের কাছ থেকে,’ তাহলে সে বলবে, ‘তবে আপনারা তাঁকে বিশ্বাস করেন নি কেন?’
32. আবার যদি বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে,’ তবে?”তাঁরা লোকদের ভয় করতেন, কারণ সবাই যোহনকে সত্যিই একজন নবী বলে মনে করত।
33. সেইজন্য তাঁরা বললেন, “আমরা জানি না।”তখন যীশু বললেন, “তাহলে আমিও আপনাদের বলব না আমি কোন্ অধিকারে এই সব করছি।”