18. যীশু লোকদের যখন এই সব কথা বলছিলেন তখন একজন যিহূদী নেতা তাঁর কাছে আসলেন এবং তাঁকে প্রণাম করে বললেন, “আমার মেয়েটা এইমাত্র মারা গেছে। কিন্তু আপনি এসে তার উপর হাত রাখুন, তাতে সে বেঁচে উঠবে।”
19. তখন যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা উঠে তাঁর সংগে গেলেন।
20. সেই সময় একজন স্ত্রীলোক পিছন থেকে যীশুর কাছে এসে তাঁর চাদরের কিনারা ছুঁলো। স্ত্রীলোকটি বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল।
21. সে মনে মনে ভাবছিল, যদি সে কেবল তাঁর কাপড়টা ছুঁতে পারে তাহলেই ভাল হয়ে যাবে।
22. যীশু ফিরে তাকে দেখতে পেয়ে বললেন, “সাহস কর। তুমি বিশ্বাস করেছ বলে ভাল হয়েছ।” সেই সময় থেকেই স্ত্রীলোকটি সুস্থ হল।
23. এর পরে যীশু সেই যিহূদী নেতার বাড়ীতে গেলেন। সেখানে তিনি দেখলেন, যারা বাঁশী বাজায় তারা রয়েছে এবং লোকেরা হৈচৈ করছে।
24. এতে যীশু বললেন, “তোমরা বাইরে যাও। মেয়েটি মারা যায় নি, ঘুমাচ্ছে।” এই কথা শুনে তারা হাসাহাসি করতে লাগল।
25. লোকদের বের করে দেওয়া হলে পর তিনি ভিতরে গিয়ে মেয়েটির হাত ধরলেন। তাতে সে উঠে বসল।
26. এই ঘটনার কথা সেই এলাকার সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল।
27. যীশু সেই জায়গা ছেড়ে চলে যাবার সময় দু’জন অন্ধ লোক তাঁর পিছনে পিছনে চলল। তারা চিৎকার করে বলতে লাগল, “দায়ূদের বংশধর, আমাদের দয়া করুন।”
28. যীশু ঘরে ঢুকলে পর সেই অন্ধ লোকেরা তাঁর কাছে আসল। তখন তিনি তাদের বললেন, “তোমরা কি বিশ্বাস কর যে, আমি এই কাজ করতে পারি?”তারা বলল, “হ্যাঁ প্রভু, করি।”
29. তিনি তাদের চোখ ছুঁয়ে বললেন, “তোমরা যেমন বিশ্বাস করেছ তোমাদের প্রতি তেমনই হোক।”
30. আর তখনই তাদের চোখ খুলে গেল। যীশু খুব কঠোরভাবে তাদের বললেন,
31. “দেখো, কেউ যেন জানতে না পারে।” কিন্তু তারা বাইরে গিয়ে সেই এলাকার সমস্ত জায়গায় তাঁর খবর ছড়িয়ে দিল।