4. যীশু তাকে বললেন, “দেখ, কাউকে এই কথা বোলো না, বরং পুরোহিতের কাছে গিয়ে নিজেকে দেখাও, আর মোশি যা আদেশ করেছেন সেই মত দান উৎসর্গ কর। এতে লোকদের কাছে প্রমাণ হবে তুমি ভাল হয়েছ।”
5. পরে যীশু কফরনাহূম শহরে ঢুকলেন। তখন একজন রোমীয় শত- সেনাপতি তাঁর কাছে এসে অনুরোধ করে বললেন,
6. “প্রভু, আমার দাস ঘরে বিছানায় পড়ে আছে। সে অবশ-রোগে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে।”
7. যীশু তাঁকে বললেন, “আমি গিয়ে তাকে ভাল করব।”
8. সেই সেনাপতি যীশুকে বললেন, “প্রভু, আপনি যে আমার বাড়ীতে ঢোকেন এমন যোগ্য আমি নই। কেবল মুখে বলুন, তাতেই আমার দাস ভাল হয়ে যাবে।
9. আমি এই কথা জানি কারণ আমাকেও অন্যের কথামত চলতে হয় এবং সৈন্যেরা আমার কথামত চলে। আমি একজনকে ‘যাও’ বললে সে যায়, অন্যজনকে ‘এস’ বললে সে আসে। আমার দাসকে ‘এটা কর’ বললে সে তা করে।”
10. যীশু এই কথা শুনে আশ্চর্য হলেন এবং যারা তাঁর পিছনে পিছনে যাচ্ছিল তাদের বললেন, “আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, ইস্রায়েলীয়দের মধ্যেও এত বড় বিশ্বাস কারও মধ্যে আমি দেখি নি।
11. আমি আপনাদের বলছি যে, পূর্ব ও পশ্চিম থেকে অনেকে আসবে এবং অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের সংগে স্বর্গ-রাজ্যে খেতে বসবে।
12. কিন্তু যাদের স্বর্গ-রাজ্যে থাকবার কথা তাদের বাইরের অন্ধকারে ফেলে দেওয়া হবে। সেখানে লোকেরা কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকবে।”
13. পরে যীশু সেই সেনাপতিকে বললেন, “আপনি যান। আপনি যেমন বিশ্বাস করেছেন তেমনই হোক।” ঠিক তখনই তাঁর দাস ভাল হয়ে গেল।
14. এর পরে যীশু পিতরের বাড়ীতে গিয়ে দেখলেন, পিতরের শাশুড়ীর জ্বর হয়েছে এবং তিনি শুয়ে আছেন।
15. যীশু তাঁর হাত ছুঁলেন আর তাতে তাঁর জ্বর ছেড়ে গেল। তখন তিনি উঠে যীশুর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে লাগলেন।
16. সন্ধ্যা হলে পর লোকেরা মন্দ আত্মায় পাওয়া অনেককে যীশুর কাছে নিয়ে আসল। তিনি মুখের কথাতেই সেই আত্মাদের ছাড়ালেন আর যারা অসুস্থ ছিল তাদের সবাইকে সুস্থ করলেন।