36. গাল তাদের দেখে সবূলকে বলল, “দেখুন, পাহাড়ের উপর থেকে কত লোক নেমে আসছে।”সবূল উত্তরে বললেন, “তুমি পাহাড়ের ছায়াগুলোকে মানুষ বলে ভাবছ।”
37. কিন্তু গাল আবার বলল, “দেখুন, লোকগুলো আসছে সবচেয়ে উঁচু পাহাড় থেকে, আর গণকদের গাছের দিক থেকে আরও একদল লোক আসছে।”
38. তখন সবূল তাকে বললেন, “এখন কোথায় তোমার সেই বড় বড় কথা? তুমি বলেছিলে, ‘অবীমেলক কে যে, আমরা তার অধীনে থাকব?’ এই সব লোকদেরই তো তুমি তুচ্ছ করেছিলে। এখন বের হয়ে তাদের সংগে যুদ্ধ কর।”
39. তখন গাল শিখিমের লোকদের পরিচালনা করে নিয়ে গিয়ে অবীমেলকের সংগে যুদ্ধ করল।
40. অবীমেলক গালকে তাড়া করলেন, তাতে সে পালিয়ে গেল। পালাবার পথে তার দলের অনেকেই আঘাত পেয়ে শহরের ফটক পর্যন্ত সারা পথে পড়ে রইল।
41. অবীমেলক অরূমাতে রয়ে গেলেন আর সবূল শিখিম থেকে গাল ও তার ভাইদের তাড়িয়ে বের করে দিলেন।
42. পরের দিন শিখিমের লোকেরা বের হয়ে মাঠে যাচ্ছিল, আর সেই খবর অবীমেলককে জানানো হল।
43. তখন অবীমেলক তাঁর লোকদের তিন দলে ভাগ করলেন এবং তারা মাঠে ওৎ পেতে রইল। শহর থেকে লোকদের বের হয়ে আসতে দেখে তিনি তাদের আক্রমণ করলেন।
44. অবীমেলক ও তাঁর দলের লোকেরা সামনের দিকে ছুটে গিয়ে শহরে ঢুকবার পথে দাঁড়াল। মাঠের মধ্যে যারা ছিল অন্য দুই দল সৈন্য তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের মেরে ফেলল।
45. সারাদিন ধরে আক্রমণ চালিয়ে অবীমেলক শহরটা অধিকার করে নিয়ে সেখানকার লোকদের মেরে ফেললেন। তারপর শহরটা ধ্বংস করে তার উপর তিনি লবণ ছিটিয়ে দিলেন।
46. এই খবর শুনে শিখিমের দুর্গের লোকেরা এল-বরীৎ দেবতার মন্দিরের ভিতরের ঘরে গিয়ে ঢুকল।