21. এর পর যোথম পালিয়ে বের্ নামে একটা জায়গায় চলে গেল। সে তার ভাই অবীমেলকের ভয়ে সেখানেই বাস করতে লাগল।
22. অবীমেলক তিন বছর ইস্রায়েলীয়দের শাসন করলেন।
23. তারপর ঈশ্বর অবীমেলক ও শিখিমের লোকদের মধ্যে একটা মন্দ আত্মা পাঠিয়ে দিলেন। তাতে শিখিমের লোকেরা অবীমেলকের সংগে বিশ্বাসঘাতকতা করল।
24. ঈশ্বরই এটা করলেন যাতে যিরুব্বালের সত্তরজন ছেলের উপর রক্তপাতের যে অন্যায় করা হয়েছে তার দরুন তাদের ভাই অবীমেলকের উপর এবং তাদের মেরে ফেলবার কাজে তাঁর ও তাঁর সাহায্যকারী শিখিমের লোকদের উপর প্রতিশোধ নেওয়া হয়।
25. শিখিমের লোকেরা অবীমেলকের বিরুদ্ধে পাহাড়ের উপরে কিছু লোক রাখল, আর তারা লুকিয়ে থেকে সেই পথে যারা যেত তাদের লুটপাট করত। কথাটা অবীমেলককে জানানো হল।
26. সেই সময় এবদের ছেলে গাল তার ভাইদের সংগে নিয়ে শিখিমে আসল আর শিখিমের লোকেরা তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করল।
27. তারা নিজেদের ক্ষেতে গিয়ে আংগুর তুলে মাড়াই করল এবং উৎসব করল। তারা তাদের দেবতার মন্দিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে অবীমেলককে অভিশাপ দিল।
28. এবদের ছেলে গাল বলল, “অবীমেলক কে যে, আমরা শিখিমের লোকেরা তার অধীন হয়ে থাকব? সে কি যিরুব্বালের ছেলে নয়? সবূল কি তার সেনাপতি নয়? তোমরা বরং শিখিমের বাবা হমোরের বংশধরদের অধীনে থাক। কেন আমরা অবীমেলকের অধীনে থাকব?
29. যদি কেবল লোকেরা আমার হুকুম মেনে চলত তবে আমি অবীমেলককে দূর করে দিতাম। তাকে বলা যেত, ‘তোমার সৈন্য-সামন্ত সব ডেকে নিয়ে বের হয়ে এস।’ ”
30. এবদের ছেলে গালের সেই কথা শিখিমের শাসনকর্তা সবূলের কানে গেল এবং তিনি খুব রেগে গেলেন।