2. সেইজন্য দানীয়েরা সরা ও ইষ্টায়োল থেকে তাদের পাঁচজন শক্তিশালী যোদ্ধাকে খোঁজ-খবর নেবার জন্য পাঠিয়ে দিল যাতে তারা দেশটা ভাল করে দেখে আসতে পারে। এই পাঁচজনকে তারা বলে দিল, “তোমরা দেশটার খোঁজ-খবর নিয়ে দেখে এস।”তাতে সেই লোকেরা ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকায় গিয়ে ঢুকল এবং রাতে মীখার বাড়ীর কাছে রইল।
3. সেই সময় তারা সেই লেবীয় যুবকের গলার স্বর চিনতে পারল। সেইজন্য তারা ভিতরে ঢুকে তাকে জিজ্ঞাসা করল, “তোমাকে এখানে কে এনেছে? এখানে তুমি কি করছ আর কেনই বা এখানে এসেছ?”
4. সে বলল, “মীখা আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন। তিনি আমাকে বেতন দিয়ে রেখেছেন এবং আমি তাঁর পুরোহিত।”
5. তারা তাকে বলল, “দয়া করে তুমি ঈশ্বরের কাছ থেকে জেনে নাও আমাদের যাত্রা সফল হবে কি না।”
6. উত্তরে পুরোহিত তাদের বলল, “তোমরা শান্তিতে যাও; সদাপ্রভুর ইচ্ছা অনুসারে তোমরা যাচ্ছ।”
7. সেই পাঁচজন লোক তখন সেখান থেকে লয়ীশে গেল। তারা দেখল সেখানকার লোকেরা সীদোনীয়দের মত নির্ভয়ে, শান্তিতে এবং নিরাপদে বাস করছে। সেই জায়গায় এমন কেউ নেই যে, তাদের উপরে অত্যাচার করতে পারে। এছাড়া তারা সীদোনীয়দের থেকে অনেক দূরে বাস করছে এবং অন্য কারও সংগে তাদের কোন সম্বন্ধ নেই।
8. সেই পাঁচজন যখন সরা ও ইষ্টায়োলে ফিরে আসল তখন তাদের লোকেরা তাদের জিজ্ঞাসা করল, “তোমরা কি দেখলে?”
9. উত্তরে তারা বলল, “আমরা যে জায়গা দেখে এসেছি তা চমৎকার। চল, আমরা তাদের আক্রমণ করি। তোমরা কি চুপ করে বসে থাকবে? সেখানে গিয়ে জায়গাটা দখল করে নিতে দেরি কোরো না।
10. তোমরা সেখানে গেলে দেখতে পাবে যে, সেখানকার লোকেরা একটা মস্ত বড় জায়গায় নিরাপদে বাস করছে। ঈশ্বর তোমাদের হাতে জায়গাটা দিয়ে রেখেছেন। পৃথিবীর কোন জিনিসের অভাব সেখানে নেই।”
11. এই কথা শুনে দান-গোষ্ঠীর ছ’শো লোক যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরা আর ইষ্টায়োল থেকে যাত্রা করল।
12. পথে তারা যিহূদা দেশের কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের কাছে ছাউনি ফেলল। সেইজন্য কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের পশ্চিম দিকটাকে আজও বলা হয় মহনে-দান (যার মানে “দানের ছাউনি”)।
13. সেখান থেকে তারা ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকায় ঢুকে মীখার বাড়ীতে গেল।