6. তাঁরা বললেন, “আমরা অম্মোনীয়দের সংগে যুদ্ধ করব, তাই তুমি এসে আমাদের সেনাপতি হও।”
7. যিপ্তহ তাঁদের বললেন, “তোমরা কি ঘৃণা করে আমাকে আমার বাবার বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দাও নি? এখন বিপদে পড়ে কেন আমার কাছে এসেছ?”
8. গিলিয়দের বৃদ্ধ নেতারা তাঁকে বললেন, “কিন্তু এখন আমরা তোমার কাছে ফিরে এসেছি যেন তুমি আমাদের সংগে গিয়ে অম্মোনীয়দের সংগে যুদ্ধ কর। এতে তুমি গিলিয়দে বাসকারী আমাদের সকলের কর্তা হবে।”
9. উত্তরে যিপ্তহ বললেন, “ধর, অম্মোনীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য তোমরা আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলে আর সদাপ্রভুও আমার হাতে তাদের তুলে দিলেন; তাহলে তখন সত্যিই কি আমি তোমাদের কর্তা হব?”
30-31. যিপ্তহ এই বলে সদাপ্রভুর কাছে একটা মানত করলেন, “তুমি যদি আমার হাতে অম্মোনীয়দের তুলে দাও তবে অম্মোনীয়দের সংগে যুদ্ধে জয়লাভ করে ফিরে আসবার সময় যে আমাকে এগিয়ে নেবার জন্য বাড়ী থেকে দরজার বাইরে আসবে সে-ই সদাপ্রভুর হবে। তাকে দিয়ে আমি একটা পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করব।”
32. এর পর যিপ্তহ অম্মোনীয়দের সংগে যুদ্ধ করতে গেলেন আর সদাপ্রভু তাঁর হাতে অম্মোনীয়দের তুলে দিলেন।
33. তিনি অরোয়ের থেকে মিন্নীতের কাছাকাছি আবেল-করামীম পর্যন্ত বিশটা শহর ও গ্রামের লোকদের ভীষণভাবে আঘাত করে মেরে ফেললেন। এইভাবে ইস্রায়েলীয়েরা অম্মোনীয়দের দমন করল।
34. যিপ্তহ যখন মিসপাতে নিজের বাড়ীতে ফিরে আসলেন তখন যে তাঁকে এগিয়ে নিতে আসল সে ছিল তাঁরই মেয়ে। সে খঞ্জনীর তালে তালে নেচে নেচে আসছিল। সে ছিল যিপ্তহের একমাত্র সন্তান, আর এই মেয়েটি ছাড়া তাঁর অন্য কোন ছেলে বা মেয়ে ছিল না।
35. যিপ্তহ মেয়েকে দেখে তাঁর কাপড় ছিঁড়ে বললেন, “হায় হায়, মা আমার, তুমি এ কি সর্বনাশ করলে! তুমি আমাকে ভীষণ বিপদের মধ্যে ফেলে দিলে, কারণ আমি সদাপ্রভুর কাছে এমন একটা মানত করেছি যা আমার পক্ষে ভাংগা সম্ভব নয়।”