5. সীল ও তীমথিয় ম্যাসিডোনিয়া থেকে আসলে পর পৌল কেবল ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করে তাঁর সমস্ত সময় কাটাতে লাগলেন। তিনি যিহূদীদের কাছে সাক্ষ্য দিতেন যে, যীশুই মশীহ।
6. কিন্তু যিহূদীরা যখন পৌলের বিরুদ্ধে কথা বলে তাঁকে অপমান করতে লাগল তখন পৌল তাদের বিরুদ্ধে তাঁর কাপড়-চোপড় ঝেড়ে ফেললেন এবং বললেন, “আপনাদের রক্তের দায় আপনাদের নিজেদের মাথার উপরেই থাকুক। এই বিষয়ে আমার কোন দোষ নেই। এখন থেকে আমি অযিহূদীদের কাছে যাব।”
7. এর পরে পৌল সমাজ-ঘর ছেড়ে তিতিয়-যুষ্ট নামে একজন লোকের ঘরে গেলেন। এই লোকের বাড়ী সমাজ-ঘরের পাশেই ছিল এবং ইনি অযিহূদী হয়েও ঈশ্বরের উপাসনা করতেন।
8. সমাজ-ঘরের কর্তা ক্রীষ্প ও তাঁর বাড়ীর সবাই প্রভুর উপর বিশ্বাস করলেন। এছাড়া করিন্থীয়দের মধ্যে অনেকেই পৌলের কথা শুনে বিশ্বাস করল এবং বাপ্তিস্ম গ্রহণ করল।
9. একদিন রাতের বেলা প্রভু একটা দর্শনের মধ্য দিয়ে পৌলকে এই কথা বললেন, “ভয় কোরো না, কথা বলতে থাক, চুপ করে থেকো না;
10. কারণ আমি তোমার সংগে সংগে আছি। তোমাকে আক্রমণ করে কেউ তোমার ক্ষতি করবে না, কারণ এই শহরে আমার অনেক লোক আছে।”
11. এতে পৌল দেড় বছর সেই শহরে থেকে লোকদের ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষা দিলেন।
12. গাল্লিয়ো যখন আখায়া প্রদেশের শাসনকর্তা ছিলেন তখন যিহূদীরা সবাই মিলে পৌলকে ধরে বিচারের জন্য আদালতে আনল।
13. তারা বলল, “এই লোকটা এমনভাবে ঈশ্বরের উপাসনা করতে উস্কে দিচ্ছে যা আইন-কানুনের বিরুদ্ধে।”
14. পৌল কথা বলতে যাবেন এমন সময় গাল্লিয়ো যিহূদীদের বললেন, “যিহূদীরা, এটা যদি কোন অন্যায় বা ভীষণ কোন দোষের ব্যাপার হত তবে তোমাদের কথা শোনা আমার পক্ষে ঠিক কাজ হত।
15. কিন্তু এটা যখন বিশেষ কোন কথার ব্যাপার, কারও নামের ব্যাপার ও তোমাদের আইন-কানুনের ব্যাপার, তখন তোমরাই এর মীমাংসা কর। আমি ঐ সব ব্যাপারের বিচার করব না।”
16. এই কথা বলে তিনি আদালত থেকে তাদের বের করে দেবার আদেশ দিলেন।
17. তখন সেই যিহূদীরা সবাই মিলে সমাজ-ঘরের কর্তা সোস্থিনীকে ধরে আদালতের সামনে মারধর করল; গাল্লিয়ো কিন্তু তা চেয়েও দেখলেন না।
18. বেশ কিছু দিন করিন্থে কাটাবার পরে পৌল বিশ্বাসী ভাইদের কাছ থেকে বিদায় নিলেন এবং আকিলা ও পিষ্কিল্লার সংগে জলপথে সিরিয়া দেশে আসলেন। পৌল একটা মানত করেছিলেন বলে যাত্রা করবার আগে কিংক্রিয়া বন্দরে তাঁর মাথার চুল কেটে ফেলেছিলেন।
19. ইফিষ শহরে পৌঁছে তিনি প্রিষ্কিল্লা ও আকিলার সংগ ছাড়লেন। পরে তিনি নিজেই সমাজ-ঘরে গিয়ে যিহূদীদের সংগে যীশুর বিষয় আলোচনা করতে লাগলেন।
20. যিহূদীরা তাঁকে তাদের সংগে কিছু দিন থাকতে বলল, কিন্তু তিনি রাজী হলেন না।
21. তবে সেখান থেকে চলে যাবার সময় তিনি বললেন, “ঈশ্বরের ইচ্ছা হলে আমি আবার ফিরে আসব।” তারপর তিনি ইফিষ থেকে জাহাজে করে রওনা হলেন।
22. তিনি কৈসরিয়া শহরে পৌঁছে জাহাজ থেকে নেমে যিরূশালেমে গেলেন। সেখানে মণ্ডলীর লোকদের শুভেচ্ছা জানাবার পরে তিনি আন্তিয়খিয়াতে গেলেন।
23. আন্তিয়খিয়াতে কিছু দিন কাটাবার পর তিনি সেখান থেকে যাত্রা করলেন এবং গালাতিয়া ও ফরুগিয়া প্রদেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে ঘুরে শিষ্যদের বিশ্বাস বাড়িয়ে তাদের শক্তিশালী করে তুললেন।