49. তিনি তাদের বিরুদ্ধে তাঁর জ্বলন্ত উপ্চে পড়া ভীষণ ক্রোধআর দুঃখ-কষ্ট পাঠিয়ে দিলেন;সেগুলো হল ধ্বংসের কাজে নিযুক্ত একদল দূত।
50. তাঁর ক্রোধ প্রকাশের পথের বাধা তিনি দূর করে দিলেন;তিনি মৃত্যু থেকে তাদের রেহাই দেন নিবরং মড়কের হাতে তাদের তুলে দিলেন।
51. তিনি মিসর দেশের প্রত্যেকটি প্রথম পুরুষ সন্তানকে আঘাত করলেন,আঘাত করলেন হাম-বংশের তাম্বুতেযৌবন-শক্তির প্রত্যেকটি প্রথম ফলকে।
52. এর পর তাঁর লোকদের তিনি ভেড়ার মত করেবের করে আনলেন,আর মরু-এলাকার মধ্য দিয়ে ভেড়ার পালের মত করেতাদের পরিচালনা করলেন।
53. তিনি তাদের নিরাপদে নিয়ে আসলেন,তাদের কোন ভয় হল না;কিন্তু সাগর তাদের শত্রুদের গিলে ফেলল।
54. শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর পবিত্র দেশে তাদের নিয়ে আসলেন,নিয়ে আসলেন সেই পাহাড়ী দেশেযে দেশ তাঁর শক্তিপূর্ণ হাতে তিনি দখল করেছিলেন।
55. তাদের সামনে থেকে অন্যান্য জাতিদের তিনি তাড়িয়ে দিলেন,আর সেই জাতিদের জায়গা-জমি তিনি জরীপ করেসম্পত্তি হিসাবে তাদের ভাগ করে দিলেন;তাদের ঘর-দুয়ারে ইস্রায়েলের গোষ্ঠীদের বাস করালেন।
56. কিন্তু তবুও তারা মহান ঈশ্বরকে পরীক্ষা করলআর তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল;তাঁর আজ্ঞা তারা পালন করল না।
57. তাদের পূর্বপুরুষদের মতই তারা ঠিক পথ থেকে সরে গিয়েবিশ্বাসঘাতকতা করল;বেয়াড়া ধনুকের মতই তারা বেঁকে রইল।
58. তারা পাহাড়ের উপরকার বেদীগুলো ব্যবহার করেতাঁকে অসন্তুষ্ট করে তুলল;খোদাই করা প্রতিমা পূজা করেতাঁর পাওনা ভক্তির আগ্রহ বাড়িয়ে তুলল।
59. এ সব দেখে-শুনে ঈশ্বর ভীষণ অসন্তুষ্ট হলেন;তিনি ইস্রায়েলকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করলেন।
60. শীলোতে তাঁর যে আবাস-তাম্বু ছিলতা তিনি ছেড়ে গেলেন;এটা সেই তাম্বু যা তিনি মানুষের মধ্যে স্থাপন করেছিলেন।
61. তাঁর শক্তির চিহ্ন তিনি বন্দীদশায় পাঠালেন;তাঁর মহিমার চিহ্নটি তাঁর শত্রুদের হাতে দিলেন।