10. এতে যেন তোমরা সৎ কাজ করে ফলবান হও এবং ঈশ্বরকে আরও ভাল করে জানতে পার; আর এইভাবে যেন সব কিছুতে প্রভুকে সন্তুষ্ট করবার জন্য তাঁর যোগ্য হয়ে চলতে পার।
11-12. এটা সম্ভব, কারণ ঈশ্বর তাঁর মহা শক্তি অনুসারে সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমাদের শক্তিমান করছেন যাতে তোমরা সব সময় আনন্দের সংগে ধৈর্য ধরে সব সহ্য কর এবং পিতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দাও। আলোর রাজ্যে ঈশ্বরের লোকেরা যে অধিকার লাভ করবে তার ভাগী হবার জন্য তিনি তোমাদের উপযুক্ত করে তুলেছেন,
13. কারণ তিনি অন্ধকারের রাজ্য থেকে আমাদের উদ্ধার করে তাঁর প্রিয় পুত্রের রাজ্যে এনেছেন।
14. এই পুত্রের সংগে যুক্ত হয়ে আমরা মুক্ত হয়েছি, অর্থাৎ আমরা পাপের ক্ষমা পেয়েছি।
15. এই পুত্রই হলেন অদৃশ্য ঈশ্বরের হুবহু প্রকাশ। সমস্ত সৃষ্টির আগে তিনিই ছিলেন এবং সমস্ত সৃষ্টির উপরে তিনিই প্রধান,
16. কারণ আকাশে ও পৃথিবীতে, যা দেখা যায় আর যা দেখা যায় না, সব কিছু তাঁর দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে। মহাকাশে যাদের হাতে রাজত্ব, কর্তৃত্ব, শাসন ও ক্ষমতা রয়েছে তাদের সবাইকে তাঁকে দিয়ে তাঁরই জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।
17. তিনিই সব কিছুর আগে ছিলেন এবং তাঁরই মধ্য দিয়ে সব কিছু টিকে আছে।
18. এছাড়া তিনিই তাঁর দেহের, অর্থাৎ মণ্ডলীর মাথা। তিনিই প্রথম আর তিনিই মৃত্যু থেকে প্রথম জীবিত হয়েছিলেন, যেন সব কিছুতে তিনিই প্রধান হতে পারেন।
19. ঈশ্বর চেয়েছিলেন যেন তাঁর সব পূর্ণতা খ্রীষ্টের মধ্যেই থাকে।
20. তা ছাড়া পৃথিবীতে হোক বা স্বর্গে হোক, খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে তাঁর নিজের সংগে সব কিছুর মিলনও তিনি চেয়েছিলেন। খ্রীষ্ট ক্রুশের উপর তাঁর রক্ত দান করে শান্তি এনেছিলেন বলেই এই মিলন হতে পেরেছে।