1. অব্রাহাম তখন বেশ বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন আর বয়সও তাঁর অনেক হয়েছিল। সদাপ্রভু তাঁকে সব দিক থেকেই আশীর্বাদ করেছিলেন।
10. এর পর সেই দাস তার মনিবের উটের পাল থেকে দশটা উট নিল। পরে মনিবের সব রকম জিনিস থেকে কিছু কিছু নিয়ে সে অরাম-নহরয়িম দেশের উদ্দেশে রওনা হল। সেখানকার যে শহরটিতে নাহোর বাস করতেন সে সেখানে গেল।
11. শহরটার বাইরে একটা কূয়া ছিল। সেই দাস সেখানে পৌঁছে তার উটগুলোকে সেই কূয়ার পাশে হাঁটু পেতে বসাল। তখন প্রায় সন্ধ্যার কাছাকাছি, মেয়েদের জল তুলে নেবার সময়।
12. সেই দাস এই বলে প্রার্থনা করল, “হে সদাপ্রভু, আমার মনিব অব্রাহামের ঈশ্বর, আজ এর সব কিছু তুমি তোমার হাতে নাও এবং আমার মনিব অব্রাহামকে দেওয়া তোমার কথা রাখ।
13. দেখ, এই শহরের মেয়েরা জল নিতে বের হয়ে আসছে, আর আমি এই কূয়ার কাছে দাঁড়িয়ে আছি।
14. ঐ মেয়েদের একজনকে আমি বলব, ‘আপনার কলসী নামিয়ে আমাকে জল খেতে দিন।’ তার উত্তরে যদি সেই মেয়ে বলে, ‘আপনি জল খান, আর আপনার উটগুলোকেও আমি জল খাওয়াব,’ তাহলে সেই মেয়েই যেন তোমার দাস ইস্হাকের জন্য তোমার বেছে রাখা মেয়ে হয়। এতেই আমি জানতে পারব যে, তুমি আমার মনিবকে দেওয়া তোমার কথা রেখেছ।”
15. তার কথা শেষ হতে না হতেই রিবিকা কলসী কাঁধে শহর থেকে বের হয়ে আসলেন। তিনি ছিলেন বথূয়েলের মেয়ে। বথূয়েল ছিলেন অব্রাহামের ভাই নাহোরের স্ত্রী মিল্কার ছেলে।
16-17. রিবিকা ছিলেন খুব সুন্দরী, অবিবাহিতা আর কুমারী। তিনি কূয়া থেকে কলসী ভরে যখন উঠে আসছিলেন তখন অব্রাহামের দাস দৌড়ে তাঁর কাছে গিয়ে বলল, “দয়া করে আপনার কলসী থেকে আমাকে একটু জল খেতে দিন।”