9. পরে যোয়াব গণনা-করা লোকদের সংখ্যা বাদশাহ্র কাছে দিলেন; ইসরাইলে তলোয়ারধারী আট লক্ষ বলবান লোক ছিল; আর এহুদার লোক ছিল পাঁচ লক্ষ।
10. দাউদ লোকদের গণনা করানোর পর তাঁর হৃদয় ধুক্ ধুক্ করতে লাগল। দাউদ মাবুদকে বললেন, এই কাজ করে আমি মহা গুনাহ্ করেছি; এখন হে মাবুদ, আরজ করি, নিজের গোলামের অপরাধ মাফ কর, কেননা আমি বড়ই অজ্ঞানের কাজ করেছি।
11. পরে যখন দাউদ খুব ভোরে উঠলেন, তখন দাউদের দর্শক গাদ নবীর কাছে মাবুদের এই কালাম নাজেল হল,
12. তুমি গিয়ে দাউদকে বল, মাবুদ এই কথা বলেন, আমি তোমার সম্মুখে তিনটি শাস্তি ঠিক করেছি, তার মধ্যে তুমি একটি মনোনীত কর, আমি তা-ই তোমার প্রতি করবো।
13. পরে গাদ দাউদের কাছে এসে তাঁকে জানালেন, বললেন, আপনার দেশে সাত বছর ব্যাপী কি দুর্ভিক্ষ হবে? না আপনার দুশমনরা যতদিন আপনার পিছনে পিছনে তাড়া করে, ততদিন আপনি তিন মাস পর্যন্ত তাদের সম্মুখ থেকে পালিয়ে বেড়াবেন? না তিন দিন পর্যন্ত আপনার দেশে মহামারী হবে? যিনি আমাকে পাঠালেন, তাঁকে কি উত্তর দেব তা এখন বিবেচনা করে দেখুন।
14. দাউদ গাদকে বললেন, আমি বড়ই বিপদগ্রস্ত হলাম; আসুন, আমরা মাবুদের হাতে পড়ি, কেননা তাঁর করুণা প্রচুর; কিন্তু আমি মানুষের হাতে পড়তে চাই না।
15. পরে সকাল থেকে নিরূপিত সময় পর্যন্ত মাবুদ ইসরাইলে মহামারী পাঠালেন; আর দান থেকে বের-শেবা পর্যন্ত লোকদের মধ্যে সত্তর হাজার লোক মারা গেল।
16. আর যখন ফেরেশতা জেরুশালেম বিনষ্ট করতে তার প্রতি হাত বাড়ালেন তখন মাবুদ সেই ভীষণ শাস্তি দেওয়া থেকে মন ফিরালেন। সেই লোক-বিনাশক ফেরেশতাকে বললেন, যথেষ্ট হয়েছে, এখন তোমার হাত গুটিয়ে নাও। তখন মাবুদের ফেরেশতা যিবূষীয় অরৌণার খামারের কাছে ছিলেন।
17. পরে দাউদ সেই লোক-বিনাশক ফেরেশতাকে দেখে মাবুদকে বললেন, দেখ, আমিই গুনাহ্ করেছি, আমিই অপরাধ করেছি, কিন্তু এই মেষগুলো কি করলো? আরজ করি, আমারই বিরুদ্ধে ও আমার পিতৃকুলের বিরুদ্ধে তোমার হাত প্রসারিত কর।
18. সেই দিন গাদ দাউদের কাছে এসে তাঁকে বললেন, আপনি গিয়ে যিবুষীয় অরৌণার খামারে মাবুদের উদ্দেশে একটি কোরবানগাহ্ স্থাপন করুন।
19. অতএব দাউদ মাবুদের হুকুম মত গাদের সান্ত্বনা অনুসারে গেলেন।
20. তখন অরৌণা দৃষ্টিপাত করে দেখতে পেল, বাদশাহ্ ও তাঁর গোলামেরা তার কাছে আসছেন; তাতে অরৌণা বাইরে এসে বাদশাহ্র সম্মুখে ভূমিতে উবুড় হয়ে পরে সালাম করলো।