2. মাবুদের দৃষ্টিতে যা মন্দ, তিনি তা-ই করতেন; তবুও তাঁর পিতা-মাতার মত ছিলেন না; কেননা তিনি তাঁর পিতার তৈরি বালের স্তম্ভ দূর করে দিলেন।
3. কিন্তু নবাটের পুত্র ইয়ারাবিম ইসরাইলকে যেসব গুনাহ্ দ্বারা গুনাহ্ করিয়েছিলেন, তাঁর সেসব গুনাহে তিনি আসক্ত থাকলেন, তা থেকে ফিরলেন না।
4. মোয়াবের বাদশাহ্ মেশা প্রচুর ভেড়ার অধিকারী ছিলেন; তিনি ইসরাইলের বাদশাহ্কে কর হিসেবে এক লক্ষ ভেড়ার বাচ্চা এবং এক লক্ষ ভেড়ার লোম দিতেন।
5. কিন্তু আহাব মৃত্যুবরণ করলে পর মোয়াবের বাদশাহ্ ইসরাইলের বাদশাহ্র অধীনতা ত্যাগ করলেন।
6. সেই সময় বাদশাহ্ যিহোরাম সামেরিয়া থেকে বাইরে গিয়ে সমস্ত ইসরাইলকে সংগ্রহ করলেন।
7. পরে তিনি এহুদার বাদশাহ্ যিহোশাফটের কাছে দূত পাঠিয়ে বললেন, মোয়াবের বাদশাহ্ আমার অধীনতা ত্যাগ করেছে, আপনি কি আমার সঙ্গে মোয়াবের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করবেন? তিনি বললেন, করবো; আমি ও আপনি, আমার লোক ও আপনার লোক, আমার ঘোড়া ও আপনার ঘোড়া, সকলই এক।
8. তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা কোন পথ দিয়ে যাব? ইনি বললেন, ইদোমের মরুভূমির পথ দিয়ে।
9. পরে ইসরাইলের বাদশাহ্, এহুদার বাদশাহ্ ও ইদোমের বাদশাহ্ যাত্রা করলেন; তাঁরা সাত দিনের পথ ঘুরে গেলেন; তখন তাঁদের সৈন্য ও তাদের সঙ্গে থাকা পশুদের জন্য পানি পাওয়া গেল না।
10. ইসরাইলের বাদশাহ্ বললেন, হায়! হায়! মাবুদ মোয়াবের হাতে তুলে দেবার জন্য এই তিন বাদশাহ্কে এক সঙ্গে ডেকে এনেছেন।
11. কিন্তু যিহোশাফট বললেন, মাবুদের কোন নবী কি এখানে নেই যে, তাঁর দ্বারা আমরা মাবুদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারি? ইসরাইলের বাদশাহ্র গোলামদের মধ্যে এক জন জবাবে বললো, শাফটের পুত্র যে আল-ইয়াসা ইলিয়াসের হাতে পানি ঢালতেন, তিনি এখানে আছেন।
12. যিহোশাফট বললেন, মাবুদের কালাম তাঁর কাছে আছে। পরে ইসরাইলের বাদশাহ্ ও যিহোশাফট এবং ইদোমের বাদশাহ্ তাঁর কাছে নেমে গেলেন।