4. তবুও যোয়াবের উপরে বাদশাহ্র কথাই প্রবল হল। তাতে যোয়াব প্রস্থান করে সমস্ত ইসরাইলের মধ্যে পর্যটন করলেন, পরে জেরুশালেমে আসলেন।
5. আর যোয়াব গণনা-করা লোকদের সংখ্যা দাউদের কাছে দিলেন। সমস্ত ইসরাইলের এগার লক্ষ তলোয়ারধারী লোক ও এহুদার চার লক্ষ সত্তর হাজার তলোয়ারধারী লোক ছিল।
6. কিন্তু তাদের মধ্যে তিনি লেবি ও বিন্ইয়ামীন বংশকে গণনা করেন নি, কারণ বাদশাহ্র কথায় যোয়াবের ঘৃণা হয়েছিল।
7. আর আল্লাহ্ এই কাজে অসন্তুষ্ট হলেন, তাই তিনি ইসরাইলকে আঘাত করলেন।
8. পরে দাউদ আল্লাহ্কে বললেন, এই কাজ করে আমি মহাগুনাহ্ করেছি, কিন্তু এখন আরজ করি, নিজের গোলামের অপরাধ মাফ কর; কেননা আমি বড়ই অজ্ঞানের কাজ করেছি।
9. পরে মাবুদ দাউদের দর্শক গাদকে এই কথা বললেন;
10. তুমি গিয়ে দাউদকে বল, মাবুদ এই কথা বলেন, আমি তোমার সম্মুখে তিনটি দণ্ড রাখলাম, তার মধ্যে তুমি একটা মনোনীত কর, আমি তোমার প্রতি তা-ই করবো।
11. পরে গাদ দাউদের কাছে এসে তাঁকে বললেন, মাবুদ এই কথা বলেন, তুমি যেটা ইচ্ছা গ্রহণ কর;
12. হয় তিন বছর দুর্ভিক্ষ, নয় তিন মাস পর্যন্ত দুশমনদের তলোয়ার তোমাকে পেয়ে বসলে তোমার বিপক্ষ লোকদের সম্মুখে সংহার, নয় তো তিন দিন পর্যন্ত মাবুদের তলোয়ার, অর্থাৎ দেশে মহামারী এবং ইসরাইলের সমস্ত অঞ্চলে মাবুদের বিনাশক ফেরেশতার ভ্রমণ। যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে কি উত্তর দেব তা এখন বিবেচনা করে দেখুন।
13. দাউদ গাদকে বললেন, আমি বড়ই বিপদগ্রস্ত হলাম; আমি যেন মানুষের হাতে না পড়ি কিন্তু মাবুদের হাতে পড়ি, কেননা তাঁর করুণা প্রচুর।
14. পরে মাবুদ ইসরাইলের উপরে মহামারী পাঠালেন, তাতে ইসরাইলের সত্তর হাজার লোক মারা পড়লো।