6. আর ফেরাউন সেদিন লোকদের কার্যশাসক ও নেতৃবর্গকে এই হুকুম দিলেন,
7. তোমরা ইট তৈরি করার জন্য আগের মত এই লোকদেরকে আর খড়কুটা দিও না; তারা গিয়ে নিজেরাই নিজেদের খড় সংগ্রহ করুক।
8. কিন্তু আগে তাদের যত ইট তৈরি করার ভার ছিল, এখনও সেই ভার দাও; তার কিছুই কম করো না; কেননা তারা অলস, এজন্য কান্নাকাটি করে বলছে, আমরা আমাদের আল্লাহ্র উদ্দেশে পশু কোরবানী করতে যাই।
9. সেই লোকদের উপরে আরও কঠিন কাজ চাপিয়ে দেওয়া হোক, তারা তাতেই ব্যস্ত থাকুক এবং মিথ্যা কথায় কান না দিক।
10. আর লোকদের কার্যশাসক ও নেতৃবর্গরা বাইরে গিয়ে তাদেরকে বললো, ফেরাউন এই কথা বলেন, আমি তোমাদেরকে খড় দেব না।
11. তোমরা যেখানে পাও, সেখানে গিয়ে খড় সংগ্রহ কর; কিন্তু তাতে তোমাদের কাজ একটুও কমিয়ে দেওয়া হবে না।
12. তাতে লোকেরা খড়ের চেষ্টায় নাড়া সংগ্রহ করতে সমস্ত মিসর দেশে ছড়িয়ে পড়লো।
13. অপরদিকে কার্যশাসকেরা তাড়া দিয়ে বললো, খড় পেলে যেমন করতে, তেমনি এখনও তোমাদের কাজ, নিরূপিত দৈনিক কাজ, প্রতিদিন সমপূর্ণ কর।
14. আর ফেরাউনের কার্যশাসকেরা বনি-ইসরাইলদের যে নেতৃ-বর্গকে তাদের উপরে রেখেছিল, তাদেরও প্রহার করা হল, আর বলা হল, তোমরা আগের মত ইট নির্মাণের বিষয়ে নিরূপিত কাজ আজ ও গতকাল কেন সমপূর্ণ কর নি?
15. তাতে বনি-ইসরাইলদের নেতৃবর্গ এসে ফেরাউনের কাছে কান্নাকাটি করে বললো, আপনার গোলামদের সঙ্গে আপনি এমন ব্যবহার কেন করছেন?
16. লোকেরা আপনার গোলামদেরকে খড় দেয় না, তবুও আমাদের বলে, ইট তৈরি কর; আর দেখুন, আপনার এই গোলামদের মারধর করা হচ্ছে কিন্তু আপনার লোকদেরই দোষ।
17. ফেরাউন বললেন, তোমরা অলস, তাই বলছো, আমরা মাবুদের উদ্দেশে পশু কোরবানী করতে যাই।
18. এখন যাও, কাজ কর, তোমাদেরকে খড় দেওয়া যাবে না, তবুও ইটের পূর্ণ সংখ্যা দিতে হবে।
19. তখন বনি-ইসরাইলদের নেতৃবর্গ দেখলো, তারা বিপাকে পড়েছে, কারণ বলা হয়েছিল, তোমরা প্রত্যেক দিনের কাজের নির্দিষ্ট সংখ্যক ইটের কিছু কম করতে পারবে না।
20. পরে ফেরাউনের কাছ থেকে বের হয়ে আসার সময়ে তারা মূসা ও হারুনের সাক্ষাৎ পেল, তাঁরা পথে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
21. তারা তাঁদেরকে বললো, মাবুদ তোমাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বিচার করুন, কেননা তোমরা ফেরাউনের দৃষ্টিতে ও তাঁর কর্মকর্তাদের দৃষ্টিতে আমাদেরকে ঘৃণার পাত্র করে আমাদের প্রাণনাশ করার জন্য তাদের হাতে তলোয়ার তুলে দিয়েছ।