26. কেননা যে কেউ আমাকে ও আমার কালামকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করে, ইবনুল-ইনসান যখন নিজের প্রতাপে এবং পিতার ও পবিত্র ফেরেশতাদের প্রতাপে আসবেন, তখন তিনি তাকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করবেন।
27. কিন্তু আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে এমন কয়েক জন আছে, যারা, যে পর্যন্ত আল্লাহ্র রাজ্য দেখতে না পাবে, সেই পর্যন্ত কোন মতে মৃত্যুর আস্বাদ পাবে না।
28. এসব কথা বলবার পরে অনুমান আট দিন গত হলে তিনি পিতর, ইউহোন্না ও ইয়াকুবকে সঙ্গে নিয়ে মুনাজাত করার জন্য পর্বতে উঠলেন।
29. আর দেখ তিনি মুনাজাত করছেন, এমন সময়ে তাঁর মুখের দৃশ্য অন্য রকম হল এবং তাঁর পোশাক শুভ্র ও উজ্জ্বল হল।
30. আর দেখ, দু’জন পুরুষ, মূসা ও ইলিয়াস, তাঁর সঙ্গে কথোপকথন করতে লাগলেন।
31. তাঁরা সপ্রতাপে দেখা দিয়ে তাঁর সেই যাত্রার বিষয় কথা বলতে লাগলেন, যা তিনি জেরুশালেমে সমাপন করতে উদ্যত ছিলেন।
32. তখন পিতর ও তাঁর সঙ্গীরা নিদ্রায় ভারাক্রান্ত ছিলেন, কিন্তু জেগে উঠে তাঁর মহিমা এবং ঐ দুই ব্যক্তিকে দেখলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
33. পরে তাঁরা তাঁর কাছ থেকে প্রস্থান করছেন, এমন সময়ে পিতর ঈসাকে বললেন, প্রভু, এখানে আমাদের থাকা ভাল; আমরা তিনটি কুটির তৈরি করি; একটি আপনার জন্য, একটি মূসার জন্য, আর একটি ইলিয়াসের জন্য; কিন্তু তিনি কি বললেন, তা নিজেই বুঝতে পারলেন না।
34. তিনি এই কথা বলছেন, এমন সময়ে একখানি মেঘ এসে তাঁদেরকে ছায়া করলো; তাতে তাঁরা সেই মেঘে প্রবেশ করলে এঁরা ভয় পেলেন।
35. আর সেই মেঘ থেকে এই বাণী হল, ইনিই আমার পুত্র, আমার মনোনীত, এঁর কথা শোন।
36. এই বাণী হবামাত্র সেখানে একা ঈসাকে দেখা গেল। আর তাঁরা নীরব রইলেন, যা যা দেখেছিলেন তার কিছুই সেই সময়ে কাউকেও জানালেন না।
37. পরদিন তাঁরা সেই পর্বত থেকে নেমে আসলে অনেক লোক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলো।