7. বস্তুত ধার্মিকের জন্য প্রায় কেউ প্রাণ দেবে না, সজ্জন ব্যক্তির জন্য হয় তো কেউ সাহস করে প্রাণ দিলেও দিতে পারে।
8. কিন্তু আল্লাহ্ আমাদের প্রতি তাঁর নিজের মহব্বত দেখিয়েছেন; কারণ আমরা যখন গুনাহ্গার ছিলাম, তখনও মসীহ্ আমাদের জন্য প্রাণ দিলেন।
9. সুতরাং সমপ্রতি তাঁর রক্তে যখন ধার্মিক গণিত হয়েছি, তখন আমরা কত সুনিশ্চিত যে, তাঁর দ্বারা আল্লাহ্র আজাব থেকে রেহাই পাব।
10. কেননা যখন আমরা আল্লাহ্র দুশমন ছিলাম, তখন আল্লাহ্র সঙ্গে তাঁর পুত্রের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সম্মিলিত হলাম। এভাবে সম্মিলিত হয়েছি বলে এটা কত বেশি নিশ্চয় যে, তাঁর জীবনের মধ্য দিয়ে নাজাত পাব।
11. কেবল তা নয়, কিন্তু আমাদের প্রভু ঈসা মসীহ্ দ্বারা আল্লাহ্কে নিয়ে গর্ব বোধ করে থাকি, যাঁর মাধ্যমে এখন আমরা সেই সম্মিলন লাভ করেছি।
12. অতএব যেমন এক জন মানুষের মধ্য দিয়ে গুনাহ্ ও গুনাহ্ দ্বারা মৃত্যু দুনিয়াতে প্রবেশ করলো; আর এইভাবে মৃত্যু সকল মানুষের কাছে উপস্থিত হল, কেননা সকলেই গুনাহ্ করলো —
13. কারণ শরীয়তের আগেও দুনিয়াতে গুনাহ্ ছিল; কিন্তু শরীয়ত না থাকলে গুনাহ্কে গুনাহ্ বলে ধরা হয় না।
14. তবুও যারা আদমের মত হুকুম লঙ্ঘন করে গুনাহ্ করে নি, আদম থেকে মূসা পর্যন্ত তাদের উপরেও মৃত্যু রাজত্ব করছিল। আর যাঁর আগমনের কথা ছিল, আদম ছিলেন তাঁরই প্রতিচ্ছবি।