মার্ক 10:17-37 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

17. পরে তিনি বের হয়ে পথে যাচ্ছেন, এমন সময়ে এক জন দৌড়ে এসে তাঁর সম্মুখে হাঁটু পেতে জিজ্ঞাসা করলো, হে সৎ ওস্তাদ, অনন্ত জীবনের অধিকারী হবার জন্য আমি কি করবো?

18. ঈসা তাকে বললেন, আমাকে সৎ কেন বলছো? এক জন ছাড়া সৎ আর কেউ নেই, তিনি আল্লাহ্‌।

19. তুমি হুকুমগুলো জানো, “নরহত্যা করো না, জেনা করো না, চুরি করো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না, প্রবঞ্চনা করো না, তোমার পিতামাতাকে সমাদর কোরো”।

20. সেই বক্তি তাঁকে বললো, হুজুর, বাল্যকাল থেকে এসব আমি পালন করে আসছি।

21. ঈসা তার প্রতি দৃষ্টিপাত করে মহব্বতে পূর্ণ হয়ে তাকে বললেন, একটি বিষয়ে তোমার ত্রুটি আছে, যাও, তোমার যা কিছু আছে বিক্রি করে দরিদ্রদেরকে দান কর, তাতে বেহেশতে ধন পাবে; আর এসো, আমার অনুসারী হও।

22. এই কথায় সে বিষণ্ন হল, দুঃখিত হয়ে চলে গেল, কারণ তার বিস্তর সম্পত্তি ছিল।

23. তখন ঈসা চারদিকে দৃষ্টিপাত করে তাঁর সাহাবীদেরকে বললেন, যাদের ধন আছে, তাদের পক্ষে আল্লাহ্‌র রাজ্যে প্রবেশ করা কেমন দুষ্কর!

24. তাঁর কথায় সাহাবীরা আশ্চর্য হলেন; কিন্তু ঈসা পুনর্বার তাঁদেরকে বললেন, বৎসরা, যারা ধনের উপর নির্ভর করে, আল্লাহ্‌র রাজ্যে প্রবেশ করা তাদের পক্ষে কেমন দুষ্কর!

25. আল্লাহ্‌র রাজ্যে ধনবানের প্রবেশ করার চেয়ে বরং সূচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।

26. তখন তাঁরা অতিশয় আশ্চর্য হয়ে বললেন, তবে কে নাজাত পেতে পারে?

27. ঈসা তাঁদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বললেন, এটা মানুষের পক্ষে অসম্ভব বটে, কিন্তু আল্লাহ্‌র পক্ষে অসম্ভব নয়, কারণ আল্লাহ্‌র পক্ষে সকলই সম্ভব।

28. তখন পিতর তাঁকে বলতে লাগলেন, দেখুন, আমরা সমস্ত কিছু পরিত্যাগ করে আপনার অনুসারী হয়েছি।

29. ঈসা বললেন, আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, এমন কেউ নেই, যে আমার জন্য ও সুসমাচারের জন্য তার বাড়ি বা ভাই-বোন বা পিতা-মাতা বা সন্তান-সন্ততি বা জায়গা-জমি ত্যাগ করেছে, কিন্তু এখন ইহকালে তার শতগুণ না পাবে;

30. সে বাড়ি, ভাই-বোন, মা, সন্তান-সন্তুতি ও জায়গা-জমি, নির্যাতনের সঙ্গে এসব পাবে এবং আগামী যুগে অনন্ত জীবন পাবে।

31. কিন্তু যারা প্রথম, এমন অনেক লোক শেষে পড়বে ও যারা শেষের, তারা প্রথম হবে।

32. একবার তাঁরা পথে ছিলেন, জেরুশালেমে যাচ্ছিলেন এবং ঈসা তাদের আগে আগে চলছিলেন, তখন তাঁরা আশ্চর্য হলেন আর যাঁরা পিছনে চলছিলেন, তাঁরা ভয় পেলেন। পরে তিনি আবার সেই বারো জনকে নিয়ে নিজের প্রতি যা যা ঘটবে, তা তাঁদেরকে বলতে লাগলেন।

33. তিনি বললেন, দেখ, আমরা জেরুশালেমে যাচ্ছি, আর ইবনুল-ইনসানকে প্রধান ইমাম ও আলেমদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে; তারা তাঁর প্রাণদণ্ড বিধান করবে এবং অ-ইহুদীদের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হবে।

34. আর তারা তাঁকে বিদ্রূপ করবে, তাঁর মুখে থুথু দেবে, তাঁকে কশাঘাত করবে ও হত্যা করবে; আর তিন দিন পরে তিনি আবার জীবিত হয়ে উঠবেন।

35. পরে সিবদিয়ের দুই পুত্র, ইয়াকুব ও ইউহোন্না, তাঁর কাছে এসে বললেন, হুজুর, আমাদের বাসনা এই, আমরা আপনার কাছে যা যাচ্ঞা করবো, আপনি তা আমাদের জন্য করুন।

36. তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের বাসনা কি? তোমাদের জন্য আমি কি করবো?

37. তাঁরা বললেন, আমাদেরকে এই বর দান করুন, যেন আপনি যখন মহিমা লাভ করবেন তখন আমরা এক জন আপনার ডান পাশে, আর এক জন বাম পাশে বসতে পারি।

মার্ক 10