8. পরে তিনি তাঁর গোলামদেরকে বললেন, বিয়ের ভোজ তো প্রস্তুত, কিন্তু ঐ দাওয়াতপ্রাপ্ত লোকেরা এর যোগ্য ছিল না;
9. অতএব তোমরা রাজপথের মাথায় মাথায় গিয়ে যত লোকের দেখা পাও, সকলকে বিয়ের ভোজে ডেকে আন।
10. তাতে ঐ গোলামেরা রাজপথে গিয়ে ভাল-মন্দ যত লোকের দেখা পেল, সকলকেই ডেকে নিয়ে আসল, তাতে বিয়ে-বাড়ি মেহমানদের দ্বারা পরিপূর্ণ হল।
11. পরে বাদশাহ্ মেহমানদেরকে দেখবার জন্যে ভিতরে এসে এমন এক ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন, যার বিয়ের পোশাক ছিল না;
12. তিনি তাকে বললেন, হে বন্ধু, তুমি কেমন করে বিয়ের পোশাক ছাড়া এখানে প্রবেশ করলে? সে এর কোন জবাব দিতে পারল না।
13. তখন বাদশাহ্ পরিচারকদেরকে বললেন, ওর হাত-পা বেঁধে ওকে বাইরের অন্ধকারে ফেলে দাও; সেখানে কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকবে।
14. বাস্তবিক অনেকে আহ্বানপ্রাপ্ত, কিন্তু অল্পই মনোনীত।
15. তখন ফরীশীরা গিয়ে পরামর্শ করলো, কিভাবে তাঁকে কথার ফাঁদে ফেলতে পারে।
16. আর তারা হেরোদীয়দের সঙ্গে তাদের শাগরেদকে দিয়ে তাঁকে বলে পাঠাল, হুজুর, আমরা জানি, আপনি সত্য এবং সত্যরূপে আল্লাহ্র পথের বিষয় শিক্ষা দিচ্ছেন এবং আপনি কারো বিষয়ে ভীত নন, কেননা আপনি মানুষের মুখাপেক্ষা করেন না।
17. ভাল, আমাদেরকে বলুন, আপনার মত কি? সীজারকে কর দেওয়া উচিত কি না?
18. কিন্তু ঈসা তাদের দুষ্টামি বুঝে বললেন, ভণ্ডরা, আমার পরীক্ষা কেন করছো?
19. সেই করের মুদ্রা আমাকে দেখাও। তখন তারা তাঁর কাছে একটি দীনার আনলো।
20. তিনি তাদেরকে বললেন, এই ছবি ও এই নাম কার? তারা বললো, সম্রাটের।
21. তখন তিনি তাদেরকে বললেন, তবে সম্রাটের যা যা, সম্রাটকে দাও। আর আল্লাহ্র যা যা, আল্লাহ্কে দাও।
22. এই কথা শুনে তারা আশ্চর্য জ্ঞান করলো এবং তাঁকে ছেড়ে চলে গেল।
23. সেদিন সদ্দূকীরা— যারা বলে পুনরুত্থান নেই— তাঁর কাছে আসল
24. এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, হুজুর, মূসা বলেছেন, কেউ যদি নিঃসন্তান হয়ে মারা যায়, তবে তার ভাই তার স্ত্রীকে বিয়ে করে আপন ভাইয়ের জন্য বংশ উৎপন্ন করবে।
25. ভাল, আমাদের মধ্যে সাতটি ভাই ছিল; আর জ্যেষ্ঠ ভাই বিয়ের পর মারা গেল এবং সন্তান না হওয়াতে আপন ভাইয়ের জন্য নিজের স্ত্রীকে রেখে গেল।
26. দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রভৃতি সপ্তম জন পর্যন্ত সেই স্ত্রীকে বিয়ে করলো।
27. সকলের শেষে সেই স্ত্রীও মারা গেল।