10. আর তিনি জেরুশালেমে প্রবেশ করলে নগরময় হুলস্থূল পড়ে গেল; সকলে বললো, উনি কে?
11. তাতে লোকেরা বললো, উনি সেই নবী, গালীলের নাসরতীয় ঈসা।
12. পরে ঈসা বায়তুল-মোকাদ্দসে প্রবেশ করলেন এবং যত লোক সেখানে ক্রয়-বিক্রয় করছিল, তাদের সকলকে বের করে দিলেন এবং মহাজনদের টেবিল ও যারা কবুতর বিক্রি করছিল, তাদের আসনগুলো উল্টিয়ে ফেললেন,
13. আর তাদেরকে বললেন, লেখা আছে, “আমার গৃহ মুনাজাতের-গৃহ বলে আখ্যাত হবে,” কিন্তু তোমরা এটাকে “দস্যুদের গহ্বর” করে তুলছো।
14. পরে অন্ধেরা ও খঞ্জেরা বায়তুল-মোকাদ্দসে তাঁর কাছ আসল, আর তিনি তাদেরকে সুস্থ করলেন।
15. কিন্তু প্রধান ইমামেরা ও আলেমেরা তাঁর কৃত অলৌকিক কাজগুলো দেখে, আর যে বালকেরা ‘হোশান্না দাউদ-সন্তান,’ বলে বায়তুল-মোকাদ্দসে চেঁচাচ্ছিল, তাদেরকে দেখে রুষ্ট হল;
16. এবং তাঁকে বললো, শুনছো, এরা কি বলছে? ঈসা তাদেরকে বললেন, হ্যাঁ, তোমরা কি কখনও পাঠ কর নি যে, “তুমি শিশু ও দুগ্ধপোষ্যদের মুখ থেকে প্রশংসা-গজল সম্পন্ন করেছ”?
17. পরে তিনি তাদেরকে ছেড়ে নগরের বাইরে বৈথনিয়ায় গেলেন, আর সেই স্থানে রাত্রি যাপন করলেন।
18. খুব ভোরে নগরে ফিরে যাবার সময়ে তাঁর খিদে পেল।
19. পথের পাশে একটা ডুমুর গাছ দেখে তিনি তার কাছে গেলেন এবং পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তিনি গাছটিকে বললেন, আর কখনও তোমাতে ফল না ধরুক; আর হঠাৎ সেই ডুমুর গাছটা শুকিয়ে গেল।