4. সব সময় আমার সমস্ত মুনাজাতে তোমাদের সকলের জন্য আনন্দ সহকারে মুনাজাত করে থাকি,
5. কারণ প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত ইঞ্জিলের পক্ষে তোমরা সহভাগী আছ।
6. আর এতে আমার দৃঢ় ভরসা আছে যে, তোমাদের অন্তরে যিনি উত্তম কাজ আরম্ভ করেছেন, তিনি ঈসা মসীহের দিন পর্যন্ত তা সুসম্পন্ন করবেন।
7. আর তোমাদের সকলের বিষয়ে আমার এই মনোভাব রাখা ন্যায় সঙ্গত, কেননা তোমরা আমার হৃদয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছ; কারাগারে আমার বন্দী থাকা সম্বন্ধে এবং ইঞ্জিলের পক্ষ সমর্থন ও নিশ্চিতকরণ সম্বন্ধে— এই দুই বিষয়েই তোমরা সকলে আমার সঙ্গে রহমতের সহভাগী হয়েছ।
8. কারণ আল্লাহ্ আমার সাক্ষী যে, মসীহ্ ঈসার স্নেহে আমি তোমাদের সকলের জন্য কেমন আকাঙক্ষী।
9. আর আমি মুনাজাত করি তোমাদের মহব্বত যেন তত্ত্বজ্ঞানে ও গভীর অন্তর্দৃষ্টিতে উত্তরোত্তর উপচে পড়ে;
10. এভাবে তোমরা যেন যা যা উত্তম তা বেছে নিতে পার এবং মসীহের আসার দিন পর্যন্ত যেন তোমরা খাঁটি ও নিখুঁত থাকতে পার,
11. যেন ধার্মিকতার সেই ফলে পূর্ণ হও, যা ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে পাওয়া যায়, এভাবে যেন আল্লাহ্র গৌরব ও প্রশংসা হয়।
12. হে ভাইয়েরা, আমার ইচ্ছা এই যেন তোমরা জানতে পার যে, আমার সম্বন্ধে যা যা ঘটেছে তা দ্বারা প্রকৃতপক্ষে ইঞ্জিল তবলিগের কাজ সম্প্রসারিত হয়েছে;
13. বিশেষত বাদশাহ্র সমস্ত রক্ষীদল এবং অন্যান্য সকলে জানতে পেরেছে যে, মসীহের জন্যই আমি বন্দী অবস্থায় আছি;
14. এবং প্রভুতে স্থিত অধিকাংশ ভাই আমার এই বন্দী অবস্থার কারণে দৃঢ়প্রত্যয়ী হয়ে নির্ভয়ে আল্লাহ্র কালাম তবলিগ করতে বেশি সাহসী হয়েছে।
15. অবশ্য এদের মধ্যে কেউ কেউ, এমন কি, হিংসা ও ঝগড়া-বিবাদ বশতঃ, আর কেউ কেউ সৎ মনোভাব নিয়ে মসীহ্কে তবলিগ করছে।
16. এরা মহব্বতে সঙ্গেই মসীহ্কে তবলিগ করছে, কারণ জানে যে, আমি ইঞ্জিলের পক্ষ সমর্থন করতে নিযুক্ত রয়েছি।