27. তাতে কারারক্ষক ঘুম থেকে জেগে উঠলো এবং কারাগারের দ্বারগুলো খুলে গেছে দেখে, তলোয়ার কোষমুক্ত করে আত্মহত্যা করতে উদ্যত হল; কারণ সে মনে করেছিল বন্দীরা পালিয়ে গেছে।
28. কিন্তু পৌল চিৎকার করে ডেকে বললেন, ওহে, নিজের ক্ষতি করো না, কেননা আমরা সকলেই এই স্থানে আছি।
29. তখন সে আলো আনতে বলে ভিতরে দৌড়ে গেল এবং ভীষণ ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পৌলের ও সীলের সম্মুখে পড়লো।
30. আর সে তাঁদেরকে বাইরে এনে বললো, হুজুরগণ, নাজাত পাবার জন্য আমাকে কি করতে হবে?
31. তাঁরা বললেন, তুমি ও তোমার পরিবার ঈসা মসীহের উপর ঈমান আন, তাতে নাজাত পাবে।
32. পরে তাঁরা তাকে এবং তার বাড়িতে উপস্থিত সমস্ত লোককে আল্লাহ্র কালাম বললেন।
33. আর রাতের সেই দণ্ডেই সে তাঁদেরকে নিয়ে তাঁদের প্রহারের ক্ষতগুলো ধুয়ে দিল এবং সে নিজে ও তার সকল লোক অবিলম্বে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলো।
34. পরে সে তাঁদেরকে উপরে ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁদের সম্মুখে খাদ্যদ্রব্য রাখল এবং সমস্ত পরিবারের সঙ্গে আল্লাহ্র উপরে ঈমান আনতে পেরে অতিশয় আনন্দিত হল।
35. দিন হলে শাসনকর্তারা বেত্রধরদের দ্বারা বলে পাঠালেন, সেই লোকদেরকে ছেড়ে দাও।
36. তাতে কারারক্ষক পৌলকে এই সংবাদ দিল যে, নেতৃবর্গ আপনাদেরকে ছেড়ে দিতে বলে পাঠিয়েছেন, অতএব আপনারা এখন বের হয়ে শান্তিতে প্রস্থান করুন।
37. কিন্তু পৌল তাদেরকে বললেন, তাঁরা আমাদেরকে বিচারে দোষী না করে সর্বসাধারণের সাক্ষাতে প্রহার করিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করেছেন, আমরা তো রোমীয় নাগরিক, এখন কি গোপনে আমাদেরকে বের করে দিচ্ছেন? তা হবে না; তারা নিজে এসে আমাদেরকে বাইরে নিয়ে যান।
38. তখন বেত্রধরেরা নেতাদেরকে এই সংবাদ দিল। তাতে তাঁরা যে রোমীয় নাগরিক, এই কথা শুনে নেতৃবর্গ ভয় পেলেন,
39. এবং এসে তাঁদেরকে ফরিয়াদ জানালেন, আর বাইরে নিয়ে গিয়ে নগর থেকে প্রস্থান করতে অনুরোধ করলেন।
40. তখন তাঁরা কারাগার থেকে বের হয়ে লুদিয়ার বাড়িতে গেলেন। আর সেখানে ভাইদের সঙ্গে তাঁদের দেখা হলে তাঁদেরকে উৎসাহ দিলেন; পরে সেখান থেকে চলে গেলেন।