9. আর তুমি মিসরে আমাদের পূর্ব-পুরুষদের দুঃখ দেখেছিলে ও লোহিত সাগরের তীরে তাদের কান্না শুনেছিলে;
10. এবং ফেরাউনকে, তাঁর সমস্ত গোলাম ও তাঁর দেশের লোক সকলকে নানা চিহ্ন-কাজ ও অদ্ভুত লক্ষণ দেখিয়েছিলে; কেননা তুমি জানতে যে, মিসরীয়েরা তাদের প্রতি উদ্ধত ব্যবহার করতো; এতে তুমি তোমার নাম প্রতিষ্ঠিত করলে, যেমন আজ রয়েছে।
11. আর তুমি তাদের সম্মুখে সমুদ্রকে দ্বিভাগ করলে, তাতে তারা সমুদ্রের মধ্যস্থলে শুকনো পথ দিয়ে অগ্রসর হল, কিন্তু প্রবল পানিতে যেমন পাথর, তেমনি তুমি তাদের পেছনে তাড়া করে আসা লোকদেরকে অগাধ পানিতে নিক্ষেপ করলে।
12. আর তুমি দিনে মেঘস্তম্ভ দ্বারা ও রাতে তাদের গন্তব্য পথে আলো দেবার জন্য অগ্নিস্তম্ভ দ্বারা তাদেরকে গমন করাতে।
13. তুমি তুর পর্বতের উপরে নেমে আসলে, বেহেশত থেকে তাদের সঙ্গে কথা বললে, আর যথার্থ অনুশাসন, সত্য ব্যবস্থা, উত্তম বিধি ও হুকুম তাদেরকে দিলে;
14. এবং তোমার পবিত্র বিশ্রামবার সম্বন্ধে তাদেরকে জানালে এবং তোমার গোলাম মূসা দ্বারা তাদেরকে হুকুম, বিধি ও শরীয়ত দিলে,
15. আর তাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য বেহেশত থেকে তাদেরকে খাবার দিলে ও তাদের পিপাসা নিবারণের জন্য শৈল থেকে পানি বের করলে; আর তুমি তাদেরকে যে দেশ দেবার জন্য ওয়াদা করেছিলে, তা অধিকার করার জন্য সেখানে প্রবেশ করতে হুকুম দিলে।
16. তবুও তারা ও আমাদের পূর্বপুরুষেরা গর্ব করলো, স্ব স্ব ঘাড় শক্ত করলো এবং তোমার হুকুমে কান দিল না;
17. আর তারা কথা শুনতে অস্বীকার করলো এবং তুমি তাদের মধ্যে যেসব অদ্ভুত কাজ করেছিলে, তা স্মরণে রাখল না, কিন্তু স্ব স্ব ঘাড় শক্ত করলো, গোলামীত্বে ফিরে যাবার জন্য বিদ্রোহী হয়ে এক জন সেনাপতিকে নিযুক্ত করলো; কিন্তু তুমি ক্ষমাবান আল্লাহ্, কৃপাময় ও স্নেহশীল, ক্রোধে ধীর ও অটল মহব্বতে মহান, তাই তাদেরকে ত্যাগ করলে না।
18. এমন কি, তারা যখন নিজেদের জন্য ছাঁচে ঢালা একটি বাছুর তৈরি করলো এবং বললো, এ-ই তোমার দেবতা, যিনি মিসর থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন, এভাবে যখন মহা কুফরীর কাজ করলো,
19. তখনও তুমি তোমার প্রচুর করুণার দরুন মরুভূমিতে তাদেরকে ত্যাগ করলে না; দিনে তাদের পথ দেখাবার জন্য মেঘস্তম্ভ এবং রাতে গন্তব্য পথে আলো দেবার জন্য অগ্নিস্তম্ভ তাদের উপর থেকে সরে গেল না।
20. আর তুমি শিক্ষা দেবার জন্য তোমার মঙ্গলময় রূহ্ তাদেরকে দান করলে এবং তাদের মুখ থেকে তোমার মান্না নিবৃত্ত করলে না ও তাদেরকে পিপাসা নিবারণ করার জন্য পানি দিলে।
21. আর চল্লিশ বছর পর্যন্ত মরুভূমিতে তাদেরকে প্রতিপালন করলে, তাদের অভাব হল না; তাদের কাপড়-চোপড় নষ্ট হল না ও তাদের পা ফুলে উঠলো না।
22. পরে তুমি নানা রাজ্য ও নানা জাতি তাদের হাতে দিয়েছিলে, এমন কি, তাদের সমস্ত জায়গাও তাদের ভাগ করে দিলে; তাতে তারা সীহোনের দেশ, অর্থাৎ হিষ্বোণের বাদশাহ্র দেশ ও বাশন-রাজ উজের দেশ অধিকার করলো।
23. আর তুমি তাদের সন্তানদেরকে আসমানের তারার মত বহুসংখ্যক করলে এবং সেই দেশে তাদেরকে আনলে, যে দেশের বিষয়ে তুমি তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে বলেছিলে যে, তারা তা অধিকার করার জন্য সেখানে প্রবেশ করবে।
24. পরে সেই সন্তানেরা সেই দেশে প্রবেশ করে তা অধিকার করলো এবং তুমি সেই দেশ-নিবাসী কেনানীয়দেরকে তাদের সম্মুখে নত করলে এবং ওদেরকে ও ওদের বাদশাহ্দেরকে ও দেশস্থ সকল জাতিকে তাদের হাতে তুলে দিলে, ওদের প্রতি যা ইচ্ছা তা করতে দিলে।