9. আর শাসনকর্তা নহিমিয়া, অধ্যাপক উযায়ের ইমাম ও লোকদের শিক্ষক লেবীয়েরা সমস্ত লোককে বললেন, আজকের দিন তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের উদ্দেশে পবিত্র, তোমরা শোক করো না, কান্নাকাটি করো না। কেননা শরীয়ত কিতাবের কালাম শুনে সমস্ত লোক কান্নাকাটি করছিল।
10. আর তিনি তাদেরকে বললেন, যাও, পুষ্টিকর দ্রব্য ভোজন কর, মিষ্ট রস পান কর এবং যার জন্য কিছু প্রস্তুত নেই, তাকে অংশ পাঠিয়ে দাও; কারণ আজকের দিন আমাদের প্রভুর উদ্দেশে পবিত্র, তোমরা বিষণ্ন হয়ো না, কেননা মাবুদে যে আনন্দ, তা-ই তোমাদের শক্তি।
11. লেবীয়েরাও লোক সকলকে শান্ত করে বললো, শান্ত হও, কেননা আজ পবিত্র দিন, তোমরা বিষণ্ন হয়ো না।
12. তখন সমস্ত লোক ভোজন পান, অংশ প্রেরণ ও অতিশয় আনন্দ করতে গেল, কেননা যেসব কথা তাদের কাছে বলা গিয়েছিল, তারা সেসব বুঝতে পেরেছিল।
13. আর দ্বিতীয় দিনে সমস্ত লোকের পিতৃকুলপতি, ইমাম ও লেবীয়েরা শরীয়তের কালামে মনোনিবেশ করার জন্য অধ্যাপক উযায়েরের কাছে একত্র হল।
14. আর তারা দেখতে পেল, কালামে এই কথা লেখা আছে যে, মাবুদ মূসা দ্বারা এই হুকুম দিয়েছিলেন, বনি-ইসরাইল সপ্তম মাসের উৎসবকালে কুটিরে বাস করবে;
15. এবং নিজেদের সকল নগরে ও জেরুশালেমে এই কথা ঘোষণা ও তবলিগ করবে, যেরকম লেখা আছে, সেই অনুসারে কুটির তৈরি করার জন্য পর্বতে গিয়ে জলপাই গাছের ডাল, বন্য জলপাই গাছের ডাল, গুলমেঁদির ডাল, খেজুর গাছের ডাল ও পাতা-ভরা গাছের ডাল আন।
16. তাতে লোকেরা বাইরে গেল ও সেসব এনে প্রত্যেকে নিজ নিজ বাড়ির ছাদে ও প্রাঙ্গণে এবং আল্লাহ্র গৃহের সকল প্রাঙ্গণে, পানি-দ্বারের চকে ও আফরাহীম-দ্বারের চকে নিজেদের জন্য কুটির তৈরি করলো।
17. বন্দীদশা থেকে প্রত্যাগত লোকদের সমস্ত সমাজ কুটির তৈরি করে তার মধ্যে বাস করলো; বস্তুত নূনের পুত্র ইউসার সময় থেকে সেদিন পর্যন্ত বনি-ইসরাইল এই রকম আর করে নি; তাতে অত্যন্ত আনন্দ হল।
18. আর উযায়ের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন আল্লাহ্র শরীয়ত-কিতাব পাঠ করলেন। আর লোকেরা সাত দিন ঈদ পালন করলো এবং বিধি অনুসারে অষ্টম দিনে উৎসব-সভা হল।