5. ওই স্থান থেকে নিয়ে আসবেন। আর তোমার পূর্বপুরুষেরা যে দেশ অধিকার করেছিল, তোমার আল্লাহ্ মাবুদ সেই দেশে তোমাকে আনবেন ও তুমি তা অধিকার করবে এবং তিনি তোমার মঙ্গল করবেন ও তোমার পূর্বপুরুষদের চেয়েও তোমার বৃদ্ধি করবেন।
6. আর তুমি যেন সমস্ত অন্তর ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তোমার আল্লাহ্ মাবুদকে মহব্বত করে জীবন লাভ কর, এজন্য তোমার আল্লাহ্ মাবুদ তোমার অন্তর ও তোমার বংশের অন্তরের খৎনা করবেন।
7. আর তোমার আল্লাহ্ মাবুদ তোমার দুশমনদের উপরে ও যারা তোমাকে হিংসা করে নির্যাতন করেছে তাদের উপরে এসব বদদোয়া বর্তাবেন।
8. আর তুমি ফিরে মাবুদের বাধ্য হয়ে চলবে এবং আমি আজ তোমাকে তাঁর যে সমস্ত হুকুম জানাচ্ছি তা পালন করবে।
9. আর তোমার আল্লাহ্ মাবুদ মঙ্গলের নিমিত্ত তোমার সমস্ত কাজে, তোমার শরীরের ফলে, তোমার পশুর ফলে ও তোমার ভূমির ফলে তোমাকে ঐশ্বর্যশালী করবেন; যেহেতু মাবুদ তোমার পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে যেমন আনন্দ করতেন মঙ্গলার্থে আবার তোমাকে নিয়ে তেমনি আনন্দ করবেন;
10. কেবল যদি তুমি এই শরীয়ত-কিতাবে লেখা তাঁর হুকুম ও নির্দেশগুলো পালন করার জন্য তোমার আল্লাহ্ মাবুদের বাধ্য হও, যদি সমস্ত অন্তর ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তোমার আল্লাহ্ মাবুদের প্রতি ফির।
11. কারণ আমি আজ তোমাকে এই যে হুকুম দিচ্ছি, তা তোমার বোধের অগম্য নয় এবং দূরবর্তীও নয়।
12. তা বেহেশতে নয় যে, তুমি বলবে, আমরা যেন তা পালন করি, এজন্য কে আমাদের জন্য বেহেশতে গিয়ে তা এনে আমাদেরকে শোনাবে?
13. আর তা সমুদ্রের ওপারেও নয় যে, তুমি বলবে, আমরা যেন তা পালন করি, এজন্য কে আমাদের জন্য সমুদ্র পার হয়ে তা এনে আমাদেরকে শোনাবে?
14. কিন্তু সেই কালাম তোমার অতি নিকটবর্তী, তা তোমার মুখে ও তোমার অন্তরে, যেন তুমি তা পালন করতে পার।
15. দেখ, আমি আজ তোমার সম্মুখে জীবন ও মঙ্গল এবং মৃত্যু ও অমঙ্গল রাখলাম;
16. ফলত আমি আজ তোমাকে এই হুকুম দিচ্ছি যে, তোমার আল্লাহ্ মাবুদকে মহব্বত করতে, তাঁর পথে চলতে এবং তাঁর হুকুম, তাঁর নির্দেশগুলো ও তাঁর অনুশাসন পালন করতে হবে; তা করলে তুমি বাঁচবে ও বৃদ্ধি পাবে; এবং যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশে তোমার আল্লাহ্ মাবুদ তোমাকে দোয়া করবেন।