42. তারা তাঁর ক্ষমতার কথা স্মরণ করলো না,সেই দিনকে স্মরণ করলো না, যেদিন তিনি তাদেরবিপক্ষের হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন।
43. তিনি মিসরে তাঁর সমস্ত চিহ্ন-কাজ,সোয়নের মাঠে তাঁর অদ্ভুত সমস্ত লক্ষণ, স্থাপন করলেন।
44. তিনি রক্তে পরিণত করলেন তাদের সমস্ত নদী, তাদের প্রবাহগুলো,তাই তারা পানি পান করতে পারল না।
45. তিনি তাদের মধ্যে গ্রাসকারী ডাঁশ মাছি,ও বিনাশকারী ভেক প্রেরণ করলেন।
46. তিনি গুটিপোকাকে তাদের ভূমির দ্রব্য,পঙ্গপালকে তাদের শ্রমফল দিলেন।
47. তিনি শিলা দ্বারা তাদের আঙ্গুরলতা,তুষারপাতে তাদের ডুমুর গাছ বিনষ্ট করলেন।
48. তিনি তাদের পশুগুলোকে শিলাতে,পালগুলোকে বজ্রের আঘাতের হাতে তুলে দিলেন।
49. তিনি তাদের বিরুদ্ধে পাঠালেনতাঁর প্রচণ্ড ক্রোধ, কোপ ও রোষ ও সঙ্কট,অমঙ্গলের এই ফেরেশতার দল।
50. তিনি নিজের ক্রোধের জন্য পথ করলেন,মৃত্যু থেকে তাদের প্রাণ রক্ষা করেন নি;কিন্তু তাদের জীবন মহামারীর হাতে দিলেন।
51. তিনি আঘাত করলেন মিসরে সমস্ত প্রথমজাতকে,হামের তাঁবুগুলোতে তাদের শক্তির প্রথম ফলকে;
52. কিন্তু তাঁর লোকদের ভেড়ার মত চালালেন,পালের মত মরুভূমি দিয়ে নিয়ে আসলেন।
53. তিনি তাদেরকে নিরাপদে নিয়ে আসলেন, তারা ভয় পেল না,কিন্তু সমুদ্র তাদের দুশমনদেরকে আচ্ছাদন করলো।
54. আর তিনি তাদেরকে আনলেন, তাঁর পবিত্র সীমায়,তাঁর ডান হাত দিয়ে জয় করা এই পর্বতে।
55. তিনি তাদের সম্মুখ থেকে জাতিদেরকে দূর করলেন,মানরজ্জু দিয়ে অধিকার ভাগ করে তাদের দিলেন,ইসরাইলের বংশদের ওদের তাঁবুতে বাস করালেন।
56. তবুও তারা সর্বশক্তিমানের পরীক্ষা করলো,তাঁর বিদ্রোহী হল, তাঁর সমস্ত নির্দেশ পালন করলো না।
57. তারা সরে গেল, তাদের পূর্বপুরুষদের মত বেঈমানী করলো;তারা বেয়াড়া ধনুকের মত বেঁকে রইল।
58. কারণ তারা নিজেদের উচ্চস্থলীগুলোর দ্বারা তাঁকে অসন্তুষ্ট করলো,নিজেদের খোদাই-করা মূর্তিগুলো দ্বারা তাঁর অন্তর্জ্বালা জন্মাল।
59. আল্লাহ্ তা শুনে ক্রুদ্ধ হলেন,ইসরাইলকে সমপূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করলেন।