4. পরের দিন লোকেরা প্রত্যুষে উঠে সেই স্থানে কোরবানগাহ্ তৈরি করলো এবং পোড়ানো-কোরবানী ও মঙ্গল-কোরবানী দিল।
5. পরে বনি-ইসরাইল বললো, সমাজে মাবুদের কাছে আসে নি, ইসরাইলের সমস্ত বংশের মধ্যে এমন কে আছে? কেননা মিস্পাতে মাবুদের কাছে যে না আসবে, সে অবশ্য হত হবে, এই মহা কসম তারা খেয়েছিল।
6. আর বনি-ইসরাইল নিজেদের ভাই বিন্ইয়ামীনের জন্য অনুতাপ করে বললো, ইসরাইলের মধ্য থেকে আজ একটি বংশ উচ্ছিন্ন হল।
7. এখন তার অবশিষ্ট লোকদের বিয়ের বিষয়ে কি কর্তব্য? আমরা তো মাবুদের নামে এই কসম খেয়েছি যে, আমরা তাদের সঙ্গে আমাদের কন্যাদের বিয়ে দেব না।
8. অতএব তারা বললো, মিস্পাতে মাবুদের কাছে আসে নি, ইসরাইলের এমন কোন বংশ কি আছে? আর দেখ, যাবেশ-গিলিয়দ থেকে কেউ শিবিরস্থ ঐ সমাজে আসে নি।
9. সমস্ত লোককে গণনা করা হল, কিন্তু দেখ, যাবেশ-গিলিয়দ নিবাসীদের এক জনও সে স্থানে নেই।
10. তাতে মণ্ডলীর বলবান লোকদের মধ্য থেকে বারো হাজার লোককে সেই স্থানে পাঠাল, আর তাদেরকে এই হুকুম করলো, তোমরা যাও, যাবেশ-গিলিয়দ নিবাসীদেরকে স্ত্রীলোক ও বালক-বালিকাদের তলোয়ার দ্বারা আঘাত কর।
11. আর এই কাজ করবে; প্রত্যেক পুরুষ এবং পুরুষের পরিচয় পাওয়া প্রত্যেক স্ত্রীকে নিঃশেষে বিনষ্ট করবে।
12. আর তারা যাবেশ-গিলিয়দ নিবাসীদের মধ্যে এমন চার শত কুমারী পেল, যারা পুরুষের পরিচয় পায় নি। তারা কেনান দেশস্থ শীলোর শিবিরে তাদেরকে নিয়ে আসলো।
13. পরে সমস্ত মণ্ডলী লোক পাঠিয়ে রিম্মোণ শৈলে অবস্থিত বিন্ইয়ামীনীয়দের সঙ্গে আলাপ করলো ও তাদের কাছে সন্ধি ঘোষণা করলো।
14. সেই সময়ে বিন্-ইয়ামীনের লোকেরা ফিরে এল, আর তারা যাবেশ-গিলিয়দস্থ যে কন্যাদেরকে জীবিত রেখেছিল, ওদের সঙ্গে তাদের বিয়ে দিল; তবুও ওদের অকুলান হল।