7. কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, দেখ, তুমি গর্ভধারণ করে পুত্র প্রসব করবে; এখন আঙ্গুর-রস কিংবা সুরা পান করো না এবং কোন নাপাক বস্তু ভোজন করো না, কেননা সেই বালক গর্ভ থেকে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত আল্লাহ্র উদ্দেশে নাসরীয় হবে।
8. তখন মানোহ মাবুদের কাছে ফরিয়াদ করে বললেন, হে মাবুদ, আল্লাহ্র যে লোককে আপনি আমাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন, তাঁকে পুনর্বার আমাদের কাছে আসতে দিন এবং যে বালকটির জন্ম হবে তার প্রতি আমাদের কি কর্তব্য, তা আমাদেরকে বুঝিয়ে দিন।
9. তখন আল্লাহ্ মানোহের ফরিয়াদে কান দিলেন; আল্লাহ্র সেই ফেরেশতা পুনর্বার সেই স্ত্রীর কাছে আসলেন; সেই সময়ে তিনি ক্ষেতে বসেছিলেন; তখন তাঁর স্বামী মানোহ তাঁর সঙ্গে ছিলেন না।
10. সেই স্ত্রী শীঘ্র দৌড়ে গিয়ে তাঁর স্বামীকে সংবাদ দিলেন, তাঁকে বললেন, দেখ, সেদিন যে লোকটি আমার কাছে এসেছিলেন, তিনি আমাকে দর্শন দিয়েছেন।
11. মানোহ উঠে তাঁর স্ত্রীর পিছনে পিছনে গেলেন এবং সেই ব্যক্তির কাছে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, এই স্ত্রীর সঙ্গে যিনি কথা বলেছিলেন, আপনি কি সেই ব্যক্তি? তিনি বললেন, আমিই সেই।
12. মানোহ বললেন, এখন আপনার কথা সফল হোক; সেই বালকটি কিভাবে জীবন কাটাবে আর সে কি করবে?
13. মাবুদের ফেরেশতা মানোহকে বললেন, আমি ঐ স্ত্রীকে যে সমস্ত কথা বলেছি সেসব বিষয়ে সে সাবধান থাকুক।
14. সে আঙ্গুর গাছ থেকে উৎপন্ন কোন বস্তু ভোজন করবে না, আঙ্গুর-রস কি সুরা পান করবে না এবং কোন নাপাক খাদ্র গ্রহণ করবে না; আমি তাকে যা কিছু হুকুম করেছি সে তা পালন করুক।
15. পরে মানোহ মাবুদের ফেরেশতাকে বললেন, আরজ করি, কিঞ্চিৎ অপেক্ষা করুন, আমরা আপনার জন্য একটি ছাগলের বাচ্চার মাংস রান্না করে নিয়ে আসি।
16. মাবুদের ফেরেশতা মানোহকে বললেন, তুমি আমাকে বিলম্ব করালেও আমি তোমার খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করবো না; কিন্তু তুমি যদি পোড়ানো-কোরবানী দাও তবে মাবুদেরই উদ্দেশে তা দাও। বস্তুতঃ তিনি যে মাবুদের ফেরেশতা তা মানোহ জানতে পারেন নি।
17. পরে মানোহ মাবুদের ফেরেশতাকে বললেন, আপনার নাম কি? আপনার কথা সফল হলে যেন আমরা আপনাকে সম্মান জানাতে পারি।
18. মাবুদের ফেরেশতা বললেন, কেন আমার নাম জিজ্ঞাসা করছো? তা তো আশ্চর্য।