6. পরে উযায়ের আল্লাহ্র গৃহের সম্মুখ থেকে উঠে ইলিয়াশীবের পুত্র যিহোহাননের কক্ষে প্রবেশ করলেন, কিন্তু সেখানে যাবার আগে কিছু রুটি ভোজন বা পানি পান করেন নি, কেননা বন্দীদশা থেকে আগত লোকদের বিশ্বাস ভঙ্গের কারণে তিনি শোকগ্রস্ত হয়েছিলেন।
7. পরে এহুদা ও জেরুশালেমের সর্বত্র বন্দীদশা থেকে আগত লোকদের কাছে ঘোষণা করা হল যে, তারা যেন জেরুশালেমে একত্র হয়,
8. আর যে কেউ নেতা ও প্রাচীনদের নির্দেশ অনুসারে তিন দিনের মধ্যে না আসবে, তার সর্বস্ব বাজেয়াপ্ত হবে ও বন্দীদশা থেকে আগত লোকদের সমাজ থেকে তাকে পৃথক করা যাবে।
9. পরে এহুদা ও বিন্ইয়ামীনের সমস্ত পুরুষ তিন দিনের মধ্যে জেরুশালেমে একত্র হল; সেদিন নবম মাসের বিশতম দিন।
10. আর সকলে আল্লাহ্র গৃহের সম্মুখস্থ প্রাঙ্গণে বসে সেই বিষয়ের জন্য ও ভারী বৃষ্টির দরুন কাঁপছিল। পরে উযায়ের ইমাম উঠে তাদেরকে বললেন, তোমরা বিশ্বাস ভঙ্গ করেছ, বিজাতীয় কন্যাদেরকে বিয়ে করে ইসরাইলের দোষ বৃদ্ধি করেছ।
11. অতএব এখন তোমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্ মাবুদের কাছে দোষ স্বীকার কর ও তাঁর তুষ্টিকর কাজ কর এবং দেশ-নিবাসী লোকদের ও বিজাতীয় স্ত্রীদের থেকে নিজেদেরকে পৃথক কর।
12. তখন সমস্ত সমাজ উচ্চঃস্বরে জবাবে বললো, হ্যাঁ, আপনি যেমন বললেন, আমাদেরকে তেমনি করতেই হবে।
13. কিন্তু লোক অনেক এবং ভারী বর্ষার সময়, বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে আমাদের শক্তি নেই; এবং এই এক দিনের কিংবা দুই দিনের কাজ নয়, যেহেতু আমরা এই বিষয়ে মহা অপরাধ করেছি।
14. অতএব সমস্ত সমাজের পক্ষে আমাদের কর্মকর্তা নিযুক্ত হোন এবং আমাদের নগরে নগরে যারা বিজাতীয় কন্যাদেরকে বিয়ে করেছে, তারা এবং তাদের সঙ্গে প্রত্যেক নগরের প্রাচীন নেতৃবর্গরা ও বিচারকর্তারা যার যার নিরূপিত সময়ে আসুক; তাতে এই বিষয়ে আমাদের আল্লাহ্র প্রচণ্ড ক্রোধ আমাদের থেকে নিবৃত্ত হবে।
15. এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কেবল অসাহেলের পুত্র যোনাথন ও তিক্বের পুত্র যহসিয় উঠলো এবং মশুল্লম ও লেবীয় শব্বথয় তাদের সাহায্য করলো।
16. আর বন্দীদশা থেকে আগত লোকেরা ঐ রূপ করলো। আর উযায়ের ইমাম এবং নিজের নিজের পিতৃকুল অনুসারে ও প্রত্যেকের নাম অনুসারে নির্দিষ্ট কয়েক জন কুলপতি নিযুক্ত হয়ে দশম মাসের প্রথম দিনে সেই বিষয়ের অনুসন্ধান করতে বসলেন।
17. প্রথম মাসের প্রথম দিনে তাঁরা বিজাতীয় কন্যা-গ্রহণকারী পুরুষদের বিচার সাঙ্গ করলেন।