9. আর আমি বহু জাতির মনে ত্রাস জন্মাব, যখন তোমার অজ্ঞাত নানা দেশে জাতিদের মধ্যে তোমার ধ্বংস উপস্থিত করবো।
10. হ্যাঁ, তোমার বিষয়ে বহু জাতিকে বিস্ময়াপন্ন করবো, তাদের বাদশাহ্রা তোমার জন্য রোমাঞ্চিত হবে, যখন তাদের সাক্ষাতেই আমি আমার তলোয়ার চালাব; তোমার পতনের দিনে তারা নিমিষে নিমিষে কেঁপে উঠবে, প্রত্যেকে নিজের প্রাণের বিষয়ে কাঁপতে থাকবে।
11. কেননা সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, ব্যাবিলনের বাদশাহ্র তলোয়ার তোমার উপরে আসবে।
12. আমি বীরদের তলোয়ার দ্বারা তোমার সমস্ত লোককে নিপাত করবো; তারা সকলে জাতিদের মধ্যে পরাক্রমশালী; তারা মিসরের অহংকার চূর্ণ করবে, তার সমস্ত লোক ধ্বংস করবে।
13. আর আমি প্রচুর পানির পাশ থেকে তার সকল পশুর পাল মুছে ফেলব; তাতে মানুষের পা সেগুলোকে আর মলিন করবে না, পশুদের খুরও সেগুলোকে মলিন করবে না।
14. সেই সময় আমি সেখানকার পানি নির্মল করবো ও সেখানকার নদনদীগুলো তেলের মত প্রবাহিত করবো, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন।
15. যখন আমি মিসর দেশ ধ্বংসস্থান ও উৎসন্ন করবো এবং ভূমির সমস্ত বস্তু যখন আঘাতপ্রাপ্ত হবে, যখন আমি সেই স্থানের অধিবাসী সকলকে আঘাত করবো, তখন তারা জানবে যে, আমিই মাবুদ।
16. এ মাতম-গীত; লোকেরা গানের মধ্য দিয়ে তা গাইবে:জাতিদের কন্যারা এই গান করবে;তারা মিসরের ও তার সমস্ত লোকের উদ্দেশে এই গান করবে;এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন।
17. আর দ্বাদশ বছরে, সেই মাসের পঞ্চদশ দিনে মাবুদের এই কালাম আমার কাছে নাজেল হল,
18. হে মানুষের সন্তান, তুমি মিসরের লোকদের বিষয়ে হাহাকার কর এবং তাদের অর্থাৎ সেই জাতিকে ও বিখ্যাত জাতিদের কন্যাদের দুনিয়ার গভীর স্থানে পাতালবাসীদের কাছে নামিয়ে দাও।
19. তুমি কার চেয়ে সুন্দর? নেমে যাও, খৎনা-না-করানোদের সঙ্গে শয়ন কর।
20. তারা তলোয়ারের আঘাতে নিহত লোকদের মধ্যে পড়ে থাকবে; তাকে তলোয়ারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে; তোমরা সেই জাতি ও তার সমস্ত লোককে টেনে নিয়ে যাও।