7. তখন এক জন কারুবী তাদের মধ্য থেকে কারুবীদের মধ্যস্থিত আগুন পর্যন্ত হাত বাড়িয়ে তার কিছু নিয়ে ঐ মসীনার পোশাক পরা পুরুষের অঞ্জলিতে দিল, আর সে তা নিয়ে বাইরে গেল।
8. আর কারুবীদের পাখাগুলোর নিচে মানুষের হাতের আকৃতি প্রকাশ পেল।
9. পরে আমি দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ, এক জন কারুবীর পাশে একটি চাকা, অন্য কারুবীর পাশে অন্য চাকা, এভাবে চার জন কারুবীর পাশে চারটি চাকা; ঐ চাকাগুলোর আভা বৈদুর্ষমণির প্রভার মত।
10. তাদের আকৃতি এই, চারটির রূপ একই ছিল; যেন চাকার মধ্যে চাকা রয়েছে।
11. গমনকালে তারা নিজেদের চার পাশে গমন করতো; গমনকালে ফিরতো না; যে স্থান মাথার সম্মুখ, সেই স্থানে তারা তার পিছনে গমন করতো, গমনকালে ফিরতো না।
12. আর তাদের সর্বাঙ্গ, তাদের পিঠ, হাত ও পাখা এবং চাকাগুলোর চারদিকে চোখে পরিপূর্ণ ছিল, চারটির চাকায় চোখ ছিল।
13. আর আমি শুনলাম, সেই চাকাগুলোকে কেউ উচ্চৈঃস্বরে বললো, ঘূর্ণায়মান চাকা।
14. প্রত্যেক প্রাণীর চারটি মুখ; প্রথম কারুবীর মুখ, দ্বিতীয় মানুষের মুখ, তৃতীয় সিংহের মুখ ও চতুর্থ ঈগল পাখির মুখ।
15. তখন কারুবীরা উপরে উঠে গেল। আমি কবার নদীর তীরে সেই প্রাণীকে দেখেছিলাম।
16. কারুবীদের গমনকালে চাকাগুলোও তাদের পাশে পাশে যেত; এবং কারুবীরা যখন ভূতল থেকে উপরে উঠে যাবার জন্য নিজ পাখা উঠাত, চাকাগুলোও তখন তাদের পাশ ছাড়তো না।
17. ওরা দাঁড়ালে এরাও দাঁড়াত এবং ওরা উঠলে এরাও একসঙ্গে উঠত, কেননা ঐ চাকাগুলোতে সেই প্রাণীর রূহ্ ছিল।
18. পরে মাবুদের মহিমা গৃহের গোবরাটের উপর থেকে প্রস্থান করে কারুবীদের উপরে দাঁড়ালো।