3. জবাবে ঈসা তাঁকে বললেন, সত্যি সত্যি, আমি তোমাকে বলছি, নতুন জন্ম না হলে কেউ আল্লাহ্র রাজ্য দেখতে পায় না।
4. নীকদীম তাঁকে বললেন, মানুষ বৃদ্ধ হলে কেমন করে তার জন্ম হতে পারে? সে কি দ্বিতীয়বার মায়ের গর্ভে প্রবেশ করে জন্ম নিতে পারে?
5. জবাবে ঈসা বললেন, সত্যি সত্যি, আমি তোমাকে বলছি, যদি কেউ পানি এবং রূহ্ থেকে না জন্মে, তবে সে আল্লাহ্র রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না।
6. দেহ থেকে যা জাত, তা দেহই; আর রূহ্ থেকে যা জাত, তা রূহ্ই।
7. আমি যে তোমাকে বললাম, তোমাদের নতুন জন্ম হওয়া আবশ্যক, এতে আশ্চর্য জ্ঞান করো না।
8. বায়ু যে দিকে ইচ্ছা করে, সেই দিকে বহে এবং তুমি তার আওয়াজ শুনতে পাও; কিন্তু কোথা থেকে আসে, আর কোথায় চলে যায়, তা জান না; রূহ্ থেকে জাত প্রত্যেক জন সেরকম।
9. নীকদীম জবাবে তাঁকে বললেন, এসব কিভাবে হতে পারে?
10. জবাবে ঈসা তাঁকে বললেন, তুমি ইসরাইলের শিক্ষক হয়েও এসব বুঝতে পারছো না?
11. সত্যি সত্যি, আমি তোমাকে বলছি, আমরা যা জানি তা বলি এবং যা দেখেছি তার সাক্ষ্য দিই; আর তোমরা আমাদের সাক্ষ্য গ্রহণ কর না।
12. আমি দুনিয়াবী বিষয়ের কথা বললে, তোমরা যদি বিশ্বাস না কর, তবে বেহেশতী বিষয়ের কথা বললে কেমন করে বিশ্বাস করবে?
13. আর বেহেশতে কেউ উঠে নি; কেবল যিনি বেহেশতে থাকেন ও বেহেশত থেকে নেমে এসেছেন, সেই ইবনুল-ইনসান ছাড়া।
14. আর মূসা যেমন মরুভূমিতে সেই সাপকে উঁচুতে উঠিয়েছিলেন, তেমনি ইবনুল-ইনসানকেও উঁচুতে তোলা হতে হবে,
15. যেন, যে কেউ তাঁতে ঈমান আনে, সে অনন্ত জীবন পায়।
16. কারণ আল্লাহ্ দুনিয়াকে এমন মহব্বত করলেন যে, তাঁর এক জাত পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেউ তাঁতে ঈমান আনে সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।