3. তাঁর দ্বিতীয় ছেলের নাম কিলাব; সে ছিল কর্মিলের নাবলের বিধবা অবীগলের ছেলে। তৃতীয় ছেলের নাম অবশালোম; সে ছিল গশূরের বাদশাহ্ তল্ময়ের মেয়ে মাখার ছেলে।
4. চতুর্থ ছেলের নাম আদোনিয়; সে ছিল হগীতের ছেলে। পঞ্চম ছেলের নাম শফটিয়; সে ছিল অবীটলের ছেলে।
5. ষষ্ঠ ছেলের নাম যিত্রিয়ম; সে ছিল দাউদের স্ত্রী ইগ্লার ছেলে। দাউদের এই সব ছেলের জন্ম হয়েছিল হেবরনে।
6. তালুত ও দাউদের সৈন্যদলের মধ্যে যখন যুদ্ধ চলছিল তখন তালুতের লোকদের মধ্যে অবনের নিজেকে শক্তিশালী করে তুলেছিলেন।
7. রিস্পা নামে তালুতের একজন উপস্ত্রী ছিল। সে ছিল অয়ার মেয়ে। একদিন ঈশ্বোশৎ অবনেরকে বললেন, “আপনি আমার পিতার উপস্ত্রীর সংগে কেন শুয়েছিলেন?”
8. ঈশ্বোশতের কথা শুনে অবনের ভীষণ রেগে গিয়ে বললেন, “আমি কি এহুদা পক্ষের কুকুরের মাথা? আজ পর্যন্ত আমি তোমার বাবা তালুতের পরিবারের প্রতি এবং তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের প্রতি বিশ্বস্ত রয়েছি। আমি তোমাকে দাউদের হাতে তুলে দিই নি। এর পরেও তুমি ঐ স্ত্রীলোকটি সম্বন্ধে আমাকে দোষী করছ!
28-30. যোয়াব ও তাঁর ভাই অবীশয় অবনেরকে হত্যা করলেন, কারণ তিনি তাঁদের ভাই অসাহেলকে গিবিয়োনের যুদ্ধে মেরে ফেলেছিলেন।পরে দাউদ সেই খবর পেয়ে বললেন, “নেরের ছেলে অবনেরের রক্তপাতের ব্যাপারে আমি ও আমার রাজ্য মাবুদের সামনে চিরদিনের জন্য নির্দোষ। যোয়াব ও তাঁর পিতার বংশের সকলেই যেন সেই রক্তের দায়ী হয়। যোয়াবের বংশে সব সময় যেন কেউ না কেউ পুরুষাংগের স্রাব কিংবা চর্মরোগে ভোগে, কেউ লাঠিতে ভর দিয়ে চলে, কেউ খুন হয় কিংবা কেউ খাবারের অভাবে কষ্ট পায়।”
31. এর পর দাউদ যোয়াব ও তাঁর সংগের সব লোকদের বললেন, “তোমরা নিজের নিজের কাপড় ছিঁড়ে চট পর এবং শোক প্রকাশ করতে করতে অবনেরের লাশের আগে আগে চল।” লাশ বহনকারী খাটের পিছনে পিছনে বাদশাহ্ দাউদ নিজেও চললেন।
32. অবনেরকে হেবরনে দাফন করা হল। অবনেরের কবরের কাছে বাদশাহ্ জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন, আর লোকেরাও সবাই কাঁদতে লাগল।
33. বাদশাহ্ তখন অবনেরের বিষয়ে এই বিলাপের কাওয়ালীটি গাইলেন:“বোকা লোকের মতই কি মরলেন অবনের?
34. তোমার তো হাত বাঁধা ছিল না,তোমার পায়ে শিকলও ছিল না।দুষ্ট লোকের হাতে যেমন করে মানুষ মরে,তেমনি করেই তো তুমি মরে গেলে।”এই কথা শুনে লোকেরা আবার অবনেরের জন্য কাঁদতে লাগল।
35. বেলা থাকতে থাকতে যাতে দাউদ কিছু খান সেইজন্য লোকেরা তাঁকে সাধাসাধি করতে লাগল; কিন্তু দাউদ কসম খেয়ে বললেন, “সূর্য ডুববার আগে যদি আমি রুটি বা অন্য কিছু খাই তবে যেন আল্লাহ্ আমাকে শাস্তি দেন আর তা ভীষণভাবেই দেন।”
36. সমস্ত লোক এই সব লক্ষ্য করে খুশী হল। সত্যি, বাদশাহ্ যা যা করলেন তাতে তারা খুশীই হল।
37. সেই দিন দাউদের সংগের লোকেরা এবং বনি-ইসরাইলরা সবাই জানতে পারল যে, নেরের ছেলে অবনেরকে হত্যা করবার ব্যাপারে বাদশাহ্র কোন হাত ছিল না।
38. বাদশাহ্ তাঁর লোকদের বললেন, “তোমরা কি জান না যে, আজকে ইসরাইল দেশের একজন মহান নেতা মারা গেলেন?
39. বাদশাহ্ হিসাবে আমাকে অভিষেক করা হলেও আজ আমি দুর্বল আর সরূয়ার ছেলেদের আমি দমন করতে পারি না। মাবুদ যেন অন্যায়কারীদের অন্যায় কাজ অনুসারে ফল দেন।”