7. উরিয়া আসলে পর দাউদ তাকে যোয়াব ও সৈন্যদের ভাল-মন্দের খবর এবং যুদ্ধ কেমন চলছে তা জিজ্ঞাসা করলেন।
8. তারপর তিনি উরিয়াকে বললেন, “তুমি নিজের বাড়ীতে গিয়ে হাত-পা ধুয়ে বিশ্রাম কর।” উরিয়া রাজবাড়ী থেকে বের হয়ে গেল আর বাদশাহ্ তার জন্য কিছু উপহার পাঠিয়ে দিলেন।
9. উরিয়া কিন্তু নিজের বাড়ীতে গেল না। সে বাদশাহ্র সমস্ত কর্মচারীদের সংগে রাজবাড়ীর দরজায় শুয়ে রইল।
10. দাউদকে সেই কথা জানানো হলে পর দাউদ উরিয়াকে বললেন, “তুমি তো যুদ্ধ থেকে ফিরে এসেছ, তবে কেন তোমার বাড়ীতে গেলে না?”
11. উরিয়া দাউদকে বলল, “সাক্ষ্য-সিন্দুক নিয়ে ইসরাইল ও এহুদার সৈন্যেরা তাম্বুতে রয়েছে, আর আমার সেনাপতি যোয়াব ও আপনার লোকেরা খোলা মাঠে ছাউনি ফেলে রয়েছেন। এই অবস্থায় আমি কি করে বাড়ী গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আমার স্ত্রীর সংগে বিছানায় যাব? আপনার প্রাণের কসম যে, আমি এমন কাজ কখনও করব না।”
12. তখন দাউদ তাকে বললেন, “আজকের দিনটাও তুমি এখানে থাক; কালকে আমি তোমাকে ফেরৎ পাঠিয়ে দেব।” কাজেই উরিয়া সেই দিনটা এবং তার পরের দিনও জেরুজালেমে রয়ে গেল।
13. দাউদ তাকে দাওয়াত করলে পর সে দাউদের সংগে খাওয়া-দাওয়া করল আর দাউদ তাকে মদানো রস খাইয়ে মাতাল করে তুললেন। কিন্তু রাত হলে উরিয়া বাদশাহ্র কর্মচারীদের মধ্যে নিজের বিছানায় শুয়ে রইল, বাড়ী গেল না।
14. পরদিন সকালে দাউদ যোয়াবকে একটা চিঠি লিখে উরিয়ার হাতে দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন।
15. তার মধ্যে তিনি এই কথা লিখেছিলেন, “যেখানে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হচ্ছে সেখানে সৈন্যদের সামনের সারিতে উরিয়াকে পাঠাবে, তারপর তার পিছন থেকে তোমরা সরে যাবে যাতে সে আঘাত পেয়ে মারা যায়।”
16. কাজেই শহর ঘেরাও করবার সময় যোয়াব উরিয়াকে এমন একটা জায়গায় পাঠালেন যেখানে বিপক্ষের শক্তিশালী যোদ্ধারা ছিল বলে তিনি জানতেন।
17. পরে শহরের লোকেরা বের হয়ে এসে যখন যোয়াবের সংগে যুদ্ধ করতে লাগল তখন দাউদের সৈন্যদলের কিছু লোক মারা পড়ল আর সেই সংগে হিট্টীয় উরিয়াও মারা গেল।