২ বাদশাহ্‌নামা 18:8-21 Kitabul Mukkadas (MBCL)

8. গাজা ও তার সব এলাকার মধ্যে যে সব জায়গায় ফিলিস্তিনীরা বাস করত তিনি তাদের আক্রমণ করে হারিয়ে দিলেন।

9. বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের রাজত্বের চতুর্থ বছরে, অর্থাৎ এলার ছেলে ইসরাইলের বাদশাহ্‌ হোশেয়ের রাজত্বের সপ্তম বছরে আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ শালমানেসার সামেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসে শহরটা ঘেরাও করে রাখলেন।

10. তিন বছর ঘেরাও করে রাখবার পর হিষ্কিয়ের রাজত্বের ষষ্ঠ বছরে আর ইসরাইলের বাদশাহ্‌ হোশেয়ের রাজত্বের নবম বছরে আশেরিয়রা সামেরিয়া দখল করে নিল।

11. আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ ইসরাইলের লোকদের বন্দী করে আশেরিয়াতে নিয়ে গেলেন এবং হলহে, হাবোর নদীর ধারে গোষণ এলাকায় এবং মিডীয়দের শহরগুলোতে তাদের বাস করতে দিলেন।

12. এই সব ঘটেছিল, কারণ তাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র কালাম তারা পালন করে নি, বরং তাঁর ব্যবস্থা, অর্থাৎ মাবুদের গোলাম মূসার সমস্ত হুকুম তারা অমান্য করেছিল। সেই সব হুকুমের কথায় তারা কান দেয় নি এবং তা পালনও করে নি।

13. বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের রাজত্বের চৌদ্দ বছরের সময় আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ সন্‌হেরীব এহুদার সমস্ত দেয়াল-ঘেরা শহরগুলো হামলা করে সেগুলো দখল করে নিলেন।

14. তখন এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয় লাখীশে আশেরিয়ার বাদশাহ্‌কে এই কথা বলে পাঠালেন, “আমি অন্যায় করেছি। আপনি ফিরে যান। আপনি আমার কাছে যা দাবি করবেন আমি তা-ই দেব।” এতে আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের কাছ থেকে প্রায় বারো টন রূপা ও এক টনের কিছু বেশী সোনা দাবি করলেন।

15. কাজেই হিষ্কিয় মাবুদের ঘরে ও রাজবাড়ীর ভাণ্ডারগুলোতে যত রূপা ছিল সবই তাঁকে দিলেন।

16. এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয় মাবুদের ঘরের দরজা ও দরজার চৌকাঠ যে সোনা দিয়ে মুড়িয়েছিলেন এই সময় তিনি তা খুলে নিয়ে আশেরিয়ার বাদশাহ্‌কে দিলেন।

17. আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ লাখীশ থেকে তর্তনকে, রব্‌সারীসকে ও রব্‌শাকিকে মস্ত বড় এক দল সৈন্য দিয়ে জেরুজালেমে বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তাঁরা জেরুজালেমে এসে ধোপার মাঠের রাস্তার ধারে উঁচু জায়গার পুকুরের সংগে লাগানো পানির নালার কাছে থামলেন।

18. তাঁরা বাদশাহ্‌কে ডাকলে পর রাজবাড়ীর পরিচালক হিল্কিয়ের ছেলে ইলিয়াকীম, বাদশাহ্‌র লেখক শিব্‌ন এবং ইতিহাস লেখক আসফের ছেলে যোয়াহ বের হয়ে তাঁদের কাছে গেলেন।

19. তখন রব্‌শাকি তাঁদের বললেন, “আপনারা হিষ্কিয়কে এই কথা বলুন যে, সেই মহান বাদশাহ্‌, অর্থাৎ আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ বলছেন, ‘তুমি কিসের উপর ভরসা করছ?

20. তুমি বলছ তোমার যুদ্ধ করবার বুদ্ধি ও শক্তি আছে, কিন্তু ওগুলো তোমার ফাঁকা বুলি। বল দেখি, তুমি কার উপর ভরসা করে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছ?

21. তুমি তো ভরসা করছ সেই থেঁৎলে যাওয়া নল, অর্থাৎ মিসরের উপর। যে সেই নলের উপর ভরসা করবে তা তার হাত ফুটা করে দেবে। মিসরের বাদশাহ্‌ ফেরাউনের উপর যারা ভরসা করে তাদের প্রতি সে তা-ই করে।’

২ বাদশাহ্‌নামা 18