2. বাদশাহ্ ও তাঁর কর্মচারীরা এবং জেরুজালেমের সমস্ত লোক ঠিক করল যে, দ্বিতীয় মাসে উদ্ধার-ঈদ পালন করা হবে।
3. এর কারণ হল, অনেক ইমাম নিজেদের পাক-সাফ করেন নি আর লোকেরাও এসে জেরুজালেমে জমায়েত হয় নি বলে নিয়মিত সময়ে তারা এটা পালন করতে পারে নি।
4. এই পরিকল্পনা বাদশাহ্ ও সমস্ত লোকের কাছে উপযুক্ত বলে মনে হল।
5. ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে উদ্ধার-ঈদ পালন করবার জন্য যাতে সবাই জেরুজালেমে আসে সেইজন্য তারা বের্-শেবা থেকে দান পর্যন্ত ইসরাইলের সমস্ত জায়গায় লোক পাঠিয়ে ঘোষণা করাল। অনেক বছর ধরে তারা নিয়ম অনুসারে অনেক লোক একত্র হয়ে এই ঈদ পালন করে নি।
6. বাদশাহ্র হুকুমে বাদশাহ্ ও তাঁর কর্মচারীদের কাছ থেকে চিঠি নিয়ে লোকেরা ইসরাইল ও এহুদার সব জায়গায় গিয়ে এই কথা ঘোষণা করল, “হে বনি-ইসরাইলরা, আপনারা ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র কাছে ফিরে আসুন, তাতে যাঁরা আশেরিয়ার বাদশাহ্র হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তাঁদের কাছে, অর্থাৎ আপনাদের কাছে তিনিও ফিরে আসবেন।
7. আপনারা আপনাদের পূর্বপুরুষ ও ইসরাইলীয় ভাইদের মত হবেন না। তারা তাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র প্রতি বেঈমানী করেছিল বলে তিনি তাদের ভীষণ শাস্তি দিয়েছিলেন। আপনারা তো তা দেখতেই পাচ্ছেন।
8. “আপনারা আপনাদের পূর্বপুরুষদের মত ঘাড় শক্ত করবেন না বরং মাবুদের হাতে নিজেদের দিয়ে দিন। যে বায়তুল-মোকাদ্দসকে তিনি চিরকালের জন্য পবিত্র করেছেন আপনারা সেই ঘরে আসুন এবং আপনাদের মাবুদ আল্লাহ্র এবাদত করুন যাতে আপনাদের উপর থেকে তাঁর ভয়ংকর রাগ চলে যায়।
9. যদি আপনারা মাবুদের কাছে ফিরে আসেন তবে আপনাদের ভাই ও ছেলেমেয়েদের যারা বন্দী করে রেখেছে তারা তাদের প্রতি দয়া দেখাবে। তখন তারা এই দেশে ফিরে আসতে পারবে, কারণ আপনাদের মাবুদ আল্লাহ্ দয়াময় ও মমতায় পূর্ণ। আপনারা তাঁর কাছে ফিরে আসলে তিনি তাঁর মুখ ফিরিয়ে রাখবেন না।”
18-19. আফরাহীম, মানশা, ইষাখর ও সবূলূন-গোষ্ঠীর অনেকে নিজেদের পাক-সাফ না করেই নিয়মের বিরুদ্ধে উদ্ধার-ঈদের মেজবানী খেয়েছিল। কিন্তু হিষ্কিয় তাদের জন্য মুনাজাত করে বললেন, “যদিও বায়তুল-মোকাদ্দসের নিয়ম অনুসারে তারা পাক-সাফ হয় নি তবুও যারা তাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র ইচ্ছামত চলবার জন্য মন স্থির করেছে, মেহেরবান আল্লাহ্ যেন তাদের সবাইকে মাফ করেন।”
20. মাবুদ হিষ্কিয়ের মুনাজাত শুনে লোকদের মাফ করলেন।
21. যে সব ইসরাইলীয় জেরুজালেমে উপস্থিত হয়েছিল তারা খুব আনন্দের সংগে সাত দিন ধরে খামিহীন রুটির ঈদ পালন করল; আর এদিকে লেবীয় ও ইমামেরা প্রতিদিন মাবুদের উদ্দেশে বাজনা বাজিয়ে প্রশংসা-কাওয়ালী গাইতে লাগলেন।
22. মাবুদের এবাদত-কাজে যে সব লেবীয়রা দক্ষ ছিল হিষ্কিয় তাদের উৎসাহ দিয়ে কথা বললেন। তারা যোগাযোগ-কোরবানী দিয়ে সাত দিন ধরে খাওয়া-দাওয়া করল এবং তাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র প্রশংসা করল।
23. তারপর সমস্ত লোক আরও সাত দিন সেই ঈদ পালন করবে বলে ঠিক করল; কাজেই আরও সাত দিন তারা আনন্দের সংগে সেই ঈদ পালন করল।
24. এহুদার বাদশাহ্ হিষ্কিয় সমস্ত লোকের জন্য এক হাজার ষাঁড় ও সাত হাজার ভেড়া দিলেন আর উঁচু পদের কর্মচারীরা দিলেন এক হাজার ষাঁড় ও দশ হাজার ভেড়া। ইমামদের মধ্যে অনেকে নিজেদের পাক-সাফ করলেন।
25. এহুদার সব লোকেরা, ইমামেরা, লেবীয়রা, ইসরাইল থেকে আসা লোকেরা এবং ইসরাইল ও এহুদায় বাসকারী যে বিদেশীরা এসেছিল তারা সবাই আনন্দ করল।
26. জেরুজালেমে খুব আনন্দ হল; ইসরাইলের বাদশাহ্ দাউদের ছেলে সোলায়মানের পরে জেরুজালেমে আর এমনভাবে ঈদ পালন করা হয় নি।
27. পরে যে লেবীয়রা ইমাম ছিলেন তাঁরা দাঁড়িয়ে লোকদের দোয়া করলেন, আর আল্লাহ্ তাঁদের মুনাজাত শুনলেন, কারণ তাঁদের মুনাজাত বেহেশতে তাঁর পবিত্র বাসস্থানে পৌঁছেছিল।