6. আমাদের পূর্বপুরুষেরা বেঈমানী করেছেন; আমাদের মাবুদ আল্লাহ্র চোখে যা খারাপ তাঁরা তা-ই করেছেন এবং তাঁকে ত্যাগ করেছেন। মাবুদের বাসস্থান থেকে তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং তাঁর দিকে পিছন ফিরিয়েছেন।
7. তাঁরা বারান্দার দরজাগুলোও বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বাতিগুলো নিভিয়ে ফেলেছেন। এই পবিত্র জায়গায় তাঁরা ইসরাইলের আল্লাহ্র উদ্দেশে ধূপ জ্বালান নি কিংবা কোন পোড়ানো-কোরবানী দেন নি।
8. কাজেই এহুদা ও জেরুজালেমের উপর মাবুদের গজব নেমে এসেছে। আপনারা নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছেন যে, তিনি তাদের ভীষণ ভয়ের ও ঘৃণার পাত্র করে তুলেছেন; তাদের দেখে লোকেরা হতভম্ব হচ্ছে।
9. এইজন্য আমাদের পূর্বপুরুষেরা যুদ্ধে মারা পড়েছেন এবং আমাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা বন্দী হয়েছে।
10. আমি এখন ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র সংগে একটা চুক্তি করতে চাই যাতে তাঁর ভয়ংকর গজব আমাদের উপর থেকে চলে যায়।
11. হে আমার সন্তানেরা, আপনারা এখন আর বসে থাকবেন না, কারণ মাবুদের সামনে দাঁড়াতে এবং তাঁর খেদমতকারী হিসাবে তাঁর কাজ করতে ও ধূপ জ্বালাতে তিনি আপনাদেরই বেছে নিয়েছেন।”
12. তখন এই সব লেবীয়রা কাজে লেগে গেলেন্ত কহাতীয়দের মধ্য থেকে অমাসয়ের ছেলে মাহৎ ও অসরিয়ের ছেলে যোয়েল; মরারীয়দের মধ্য থেকে অব্দির ছেলে কীশ ও যিহলিলেলের ছেলে অসরিয়; গের্শোনীয়দের মধ্য থেকে সিম্মের ছেলে যোয়াহ ও যোয়াহের ছেলে আদন;
13. ইলীষাফণের বংশধরদের মধ্য থেকে শিম্রি ও যিয়ূয়েল; আসফের বংশধরদের মধ্য থেকে জাকারিয়া ও মত্তনিয়;
14. হেমনের বংশধরদের মধ্য থেকে যিহূয়েল ও শিমিয়ি এবং যিদূথূনের বংশধরদের মধ্য থেকে শময়িয় ও উষীয়েল।
15. তাঁরা তাঁদের লেবীয় ভাইদের একত্র করে নিজেদের পবিত্র করলেন। তারপর মাবুদের কথামত বাদশাহ্র হুকুম অনুসারে তাঁরা মাবুদের ঘর পাক-সাফ করবার জন্য ভিতরে গেলেন।
16. ইমামেরা সেখানে যে সব নাপাক জিনিস পেলেন সেগুলো সবই মাবুদের ঘরের উঠানে বের করে আনলেন। লেবীয়রা সেগুলো বহন করে কিদ্রোণ উপত্যকায় নিয়ে গেল।
17. তাঁরা সকলে প্রথম মাসের প্রথম দিনে মাবুদের ঘর পাক-সাফ করতে শুরু করে মাসের আট দিনের দিন ঘরের বারান্দা পর্যন্ত আসলেন। আরও আটদিন ধরে তাঁরা মাবুদের ঘরটি পাক-সাফ করলেন এবং প্রথম মাসের ষোল দিনের দিন তা শেষ করলেন।
18. তারপর তাঁরা বাদশাহ্ হিষ্কিয়ের কাছে গিয়ে বললেন, “আমরা কোরবানগাহ্ ও তার বাসন-কোসন এবং পবিত্র-রুটি রাখবার টেবিল ও তার সব জিনিসপত্র সুদ্ধ মাবুদের ঘরটি পাক-সাফ করেছি।
19. মাবুদের প্রতি বেঈমানী করে বাদশাহ্ আহস তাঁর রাজত্বের সময় যে সব জিনিস বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন সেগুলো আমরা আবার ঠিক-ঠাক করে পাক-সাফ করে নিয়েছি। সেগুলো এখন মাবুদের কোরবানগাহের সামনে রয়েছে।”
20. পরের দিন ভোরবেলায় বাদশাহ্ হিষ্কিয় শহরের উঁচু পদের কর্মচারীদের একত্র করে মাবুদের ঘরে গেলেন।
21. তাঁরা রাজ্যের জন্য, বায়তুল-মোকাদ্দসের জন্য ও এহুদার লোকদের জন্য গুনাহের জন্য কোরবানী হিসাবে সাতটা ষাঁড়, সাতটা ভেড়া, সাতটা ভেড়ার বাচ্চা ও সাতটা ছাগল নিয়ে আসলেন। তারপর বাদশাহ্ ইমামদের, অর্থাৎ হারুনের বংশধরদের সেগুলো মাবুদের কোরবানগাহের উপর কোরবানী দেবার জন্য হুকুম দিলেন।
22. ইমামেরা প্রথমে সেই ষাঁড়গুলো জবাই করে প্রত্যেকটার রক্ত নিয়ে কোরবানগাহের গায়ে ছিটিয়ে দিলেন; তারপর ভেড়াগুলো ও শেষে ভেড়ার বাচ্চাগুলো কেটে সেগুলোর প্রত্যেকটার রক্তও ছিটিয়ে দিলেন।
23. তারপর ইমামেরা গুনাহের কোরবানীর জন্য ছাগলগুলো বাদশাহ্ ও সব লোকদের সামনে আনলেন যাতে তাঁরা সেগুলোর মাথার উপর হাত রাখতে পারেন।