12. আল্লাহ্ আমাদের সংগে আছেন; তিনিই আমাদের নেতা। তাঁর ইমামেরা তাঁদের শিংগা বাজিয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেবার জন্য আমাদের সংগে আছেন। হে ইসরাইলের লোকেরা, আপনাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র বিরুদ্ধে আপনারা যুদ্ধ করবেন না, কারণ তাতে আপনারা সফল হবেন না।”
13. ইয়ারাবিম গোপনে এহুদার সৈন্যদের পিছনের দিকে একদল সৈন্য পাঠিয়ে দিলেন; তাতে তাঁর একদল সৈন্য এহুদার সামনের দিকে আর একদল সৈন্য এহুদার পিছন দিকে রইল।
14-15. এহুদার লোকেরা ফিরে দেখতে পেল যে, তাদের সামনে ও পিছনে দু’দিকে সৈন্য। তখন তারা মাবুদের কাছে ফরিয়াদ জানাল। ইমামেরা তাঁদের শিংগা বাজালেন আর এহুদার লোকেরা যুদ্ধের হাঁক দিল। তারা যখন যুদ্ধের হাঁক দিল তখন অবিয় ও এহুদার লোকদের সামনে থেকে আল্লাহ্ ইয়ারাবিম ও সমস্ত ইসরাইলকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করলেন।
16. এহুদার সামনে থেকে বনি-ইসরাইলরা পালিয়ে যেতে লাগল আর আল্লাহ্ তাদের এহুদার লোকদের হাতে তুলে দিলেন।
17. অবিয় ও তাঁর লোকেরা অনেক লোককে হত্যা করলেন। এতে বনি-ইসরাইলদের বাছাই-করা লোকদের মধ্য থেকে পাঁচ লক্ষ লোক মারা পড়ল।
18. এইভাবে ইসরাইলের লোকেরা হেরে গেল, আর এহুদার লোকেরা জয়ী হল, কারণ তারা তাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র উপর ভরসা করেছিল।
19. অবিয় ইয়ারাবিমের পিছনে তাড়া করে গিয়ে তাঁর হাত থেকে বেথেল, যিশানা ও ইফ্রোণ এবং সেগুলোর আশেপাশের জায়গাগুলো দখল করে নিলেন।
20. অবিয়ের সময়ে ইয়ারাবিম আর শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেন নি। পরে মাবুদ তাঁকে আঘাত করলে পর তিনি মারা গেলেন।
21. এদিকে অবিয় শক্তিশালী হয়ে উঠতে লাগলেন। তাঁর চৌদ্দজন স্ত্রী এবং বাইশজন ছেলে ও ষোলজন মেয়ে ছিল।
22. অবিয়ের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং তিনি যা কিছু বলেছিলেন তা নবী ইদ্দোর ইতিহাসের বইয়ে লেখা আছে।