১ বাদশাহ্‌নামা 22:24-40 Kitabul Mukkadas (MBCL)

24. তখন কনানার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মিকায়ের গালে চড় মেরে বলল, “মাবুদের রূহ্‌ তোর সংগে কথা বলবার জন্য আমার কাছ থেকে বেরিয়ে কোন পথে গিয়েছিলেন?”

25. জবাবে মিকায় বললেন, “তুমি সেই দিন তা জানতে পারবে যেদিন তুমি নিজেকে লুকাবার জন্য ভিতরের ঘরে গিয়ে ঢুকবে।”

26. ইসরাইলের বাদশাহ্‌ তখন এই হুকুম দিলেন, “মিকায়কে শহরের শাসনকর্তা আমোন ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে আবার পাঠিয়ে দাও।

27. তাদের বল বাদশাহ্‌ বলেছেন এই লোকটিকে যেন জেলে রাখা হয় এবং বাদশাহ্‌ নিরাপদে ফিরে না আসা পর্যন্ত তাকে অল্প পানি আর অল্প রুটি ছাড়া যেন আর কিছু দেওয়া না হয়।”

28. তখন মিকায় বললেন, “যদি আপনি সত্যিই নিরাপদে ফিরে আসেন তবে জানবেন মাবুদ আমার মধ্য দিয়ে কথা বলেন নি।” তারপর তিনি আবার বললেন, “আপনারা সবাই আমার কথাটা শুনে রাখুন।”

29. এর পরে ইসরাইলের বাদশাহ্‌ ও এহুদার বাদশাহ্‌ যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দ হামলা করতে গেলেন।

30. আহাব যিহোশাফটকে বললেন, “আমাকে যাতে লোকেরা চিনতে না পারে সেইজন্য আমি অন্য পোশাক পরে যুদ্ধে যোগ দেব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাকই পরে নিন।” এই বলে ইসরাইলের বাদশাহ্‌ অন্য পোশাক পরে যুদ্ধ করতে গেলেন।

31. সিরিয়ার বাদশাহ্‌ তাঁর রথগুলোর বত্রিশজন সেনাপতিকে এই হুকুম দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইসরাইলের বাদশাহ্‌ ছাড়া আপনারা ছোট কি বড় আর কারও সংগে যুদ্ধ করবেন না।”

32. রথের সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিলেন যে, তিনি নিশ্চয়ই ইসরাইলের বাদশাহ্‌। কাজেই তাঁরা ফিরে তাঁকে আক্রমণ করতে গেলেন কিন্তু যিহোশাফট চেঁচিয়ে উঠলেন।

33. এতে সেনাপতিরা বুঝলেন যে, তিনি ইসরাইলের বাদশাহ্‌ নন সেইজন্য তাঁরা আর তাঁর পিছনে তাড়া করলেন না।

34. কিন্তু একজন লোক লক্ষ্য স্থির না করেই তার ধনুকে টান দিয়ে ইসরাইলের বাদশাহ্‌র বুক ও পেটের বর্মের মাঝামাঝি ফাঁকে আঘাত করে বসল। তখন বাদশাহ্‌ তাঁর রথ চালককে বললেন, “রথ ঘুরিয়ে তুমি যুদ্ধের জায়গা থেকে আমাকে বাইরে নিয়ে যাও। আমি আঘাত পেয়েছি।”

35. সারা দিন ধরে ভীষণ যুদ্ধ চলল আর বাদশাহ্‌কে সিরীয়দের মুখোমুখি করে রথের মধ্যে বসিয়ে রাখা হল। তাঁর ক্ষত থেকে রক্ত ঝরে রথের মেঝের উপর পড়তে লাগল আর বিকালের দিকে তিনি মারা গেলেন।

36. সূর্য ডুবে যাবার সময় সৈন্যদলের মধ্যে এই কথা ঘোষণা করা হল, “তোমরা প্রত্যেকেই যে যার গ্রামে ও বাড়ীতে ফিরে যাও।”

37. এইভাবে ইসরাইলের বাদশাহ্‌ মারা গেলেন এবং তাঁকে সামেরিয়াতে আনা হল। লোকেরা তাঁকে সেখানেই দাফন করল।

38. সামেরিয়ার পুকুরে তাঁর রথটা ধোয়া হল এবং মাবুদের ঘোষণা অনুসারে কুকুরেরা সেখানে তাঁর রক্ত চেটে খেল আর বেশ্যারা সেই পুকুরে গোসল করল।

39. আহাবের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন সেই সব কথা, হাতীর দাঁতের কাজ করা যে রাজবাড়ী তিনি তৈরী করেছিলেন তার কথা এবং যে শহরগুলো তিনি শক্তিশালী করে গড়ে তুলেছিলেন সেগুলোর কথা “ইসরাইলের বাদশাহ্‌দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।

40. আহাব তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবার পর তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে অহসিয় বাদশাহ্‌ হলেন।

১ বাদশাহ্‌নামা 22