47. কিন্তু দ্বিতীয় মানুষ বেহেশত থেকে এসেছিলেন।
48. দুনিয়ার মানুষেরা সেই মাটির তৈরী মানুষের মত, আর যারা বেহেশতে যাবে তারা সেই বেহেশতের মানুষের মত।
49. আমরা যেমন সেই মাটির মানুষের মত হয়েছি ঠিক তেমনি সেই বেহেশতের মানুষের মতও হব।
50. ভাইয়েরা, আমি যা বলছি তা এই- মানুষ তার রক্তমাংসের শরীর নিয়ে আল্লাহ্র রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না। যা নষ্ট হয়ে যাবে তা এমন কিছুর অধিকারী হতে পারে না যা নষ্ট হবে না।
51. আমি তোমাদের একটা গোপন সত্যের কথা বলছি, শোন। আমরা সবাই যে মারা যাব তা নয়, কিন্তু বদলে যাব।
52. এক মুহূর্র্তের মধ্যে, চোখের পলকে, শেষ সময়ের শিংগার আওয়াজের সংগে সংগে আমরা সবাই বদলে যাব। সেই শিংগা যখন বাজবে তখন মৃতেরা এমন অবস্থায় জীবিত হয়ে উঠবে যে, তারা আর কখনও নষ্ট হবে না; আর আমরাও বদলে যাব।
53. যা নষ্ট হয় তাকে কাপড়ের মত করে এমন কিছু পরতে হবে যা কখনও নষ্ট হয় না। আর যা মরে যায় তাকে এমন কিছু পরতে হবে যা কখনও মরে না।
54. যা নষ্ট হয় আর যা মরে যায়, সেগুলো যখন ঐভাবে বদলে যাবে তখন পাক-কিতাবের এই কথা পূর্ণ হবে যে, মৃত্যু ধ্বংস হয়ে জয় এসেছে।
55. “মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?”
56. মৃত্যুর হূল গুনাহ্, আর গুনাহের শক্তিই মূসার শরীয়ত।
57. কিন্তু আল্লাহ্কে শুকরিয়া, আমাদের হযরত ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে তিনি আমাদের জয় দান করেন।
58. সেইজন্যই, আমার প্রিয় ভাইয়েরা, শক্ত হয়ে দাঁড়াও; কোন কিছুই যেন তোমাদের নড়াতে না পারে। সব সময় প্রভুর কাজের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণভাবে দিয়ে দাও, কারণ তোমরা জান, তাঁর কাজে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল নয়।