হিজরত 16:5-21 Kitabul Mukkadas (MBCL)

5. সপ্তার ষষ্ঠ দিনে তারা যেন অন্য দিনের চেয়ে দুই গুণ কুড়িয়ে এনে খাবার তৈরী করে।”

8. মূসা আরও বললেন, “সন্ধ্যাবেলায় যখন মাবুদ তোমাদের গোশ্‌ত দেবেন আর সকালবেলায় দেবেন প্রচুর রুটি তখনই তোমরা বুঝবে যে, মাবুদই তোমাদের মিসর থেকে বের করে এনেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তোমরা যত কথা বলেছ তা সব তিনি শুনেছেন। আমরা কে? এই সব কথা তোমরা আসলে আমাদের বিরুদ্ধে বলছ না, বলছ মাবুদেরই বিরুদ্ধে।”

9. তারপর মূসা হারুনকে সমস্ত বনি-ইসরাইলদের এই কথা বলতে বললেন, “মাবুদ তাঁর বিরুদ্ধে তোমাদের অনেক কথা বলতে শুনেছেন, কাজেই তোমরা তাঁর সামনে এগিয়ে যাও।”

10. হারুন যখন বনি-ইসরাইলদের কাছে কথা বলছিলেন তখন তারা মরুভূমির দিকে তাকিয়ে দেখল; আর আশ্চর্য এই যে, সেখানে মেঘের মধ্যে তারা মাবুদের মহিমা দেখতে পেল।

11. তখন মাবুদ মূসাকে বললেন,

12. “বনি-ইসরাইলরা আমার বিরুদ্ধে যে সব কথা বলেছে তা আমি শুনেছি। তাদের এই কথা বল যে, তারা সন্ধ্যাবেলায় গোশ্‌ত খাবে আর সকালবেলায় খাবে পেট ভরে রুটি। এতে তারা জানতে পারবে যে, আমি আল্লাহ্‌ই তাদের মাবুদ।”

13. সন্ধ্যাবেলায় অনেক ভারুই পাখী এসে তাদের ছাউনি-এলাকাটা ছেয়ে ফেলল। সকালবেলায় দেখা গেল শিবিরের চারপাশটা শিশিরে ঢাকা পড়ে গেছে।

14. যখন সেই শিশির মিলিয়ে গেল তখন মাটিতে মাছের আঁশের মত পাতলা এক রকম জিনিস দেখা গেল। সেগুলো দেখতে ছিল পড়ে থাকা তুষারের মত।

15. তা দেখে বনি-ইসরাইলরা একজন অন্যজনকে বলল, “ওগুলো কি?” ওগুলো যে কি, তা তারা জানত না।তখন মূসা তাদের বললেন, “ওগুলোই সেই রুটি যা মাবুদ তোমাদের খেতে দিয়েছেন।

16. মাবুদ তোমাদের এই হুকুম দিয়েছেন, প্রত্যেকে যেন তার পরিবারের দরকার মত কুড়ায়। তাম্বুর প্রত্যেকের জন্য যেন এক ওমর করে কুড়ানো হয়।”

17. বনি-ইসরাইলরা তা-ই করল। কেউ কুড়ালো বেশী, কেউ কুড়ালো কম।

18. কিন্তু ওমরের মাপে দেখা গেল, যারা অনেক কুড়ালো তাদের বেশী হল না আর যারা অল্প কুড়ালো তাদের কম পড়ল না। প্রত্যেকেই পরিবারের দরকার মত তা কুড়িয়েছিল।

19. তারপর মূসা তাদের বললেন, “সকালের জন্য তোমরা এর কিছুই রেখে দিয়ো না।”

20. কিন্তু কেউ কেউ মূসার কথা না শুনে সকালের জন্য কিছু রেখে দিল। তাতে সেগুলোতে পোকা ধরল আর দুর্গন্ধ হয়ে গেল। এই অবস্থা দেখে মূসা তাদের উপর রাগে জ্বলে উঠলেন।

21. লোকেরা প্রত্যেক দিন সকালে যার পরিবারে যতটুকু দরকার ততটুকুই কুড়িয়ে আনত। কিন্তু রোদ কড়া হলে সেগুলো গলে যেত।

হিজরত 16