10. নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী এবং তার সংগেকার ঢালন-কোরবানী ছাড়াও প্রত্যেক বিশ্রামবারে এই পোড়ানো-কোরবানী দিতে হবে।
11. “প্রত্যেক মাসের প্রথম দিনে মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানীর জন্য দু’টা ষাঁড়, একটা ভেড়া এবং এক বছরের সাতটা বাচ্চা-ভেড়া কোরবানী দিতে হবে। সেগুলোর প্রত্যেকটাকেই নিখুঁত হতে হবে।
12-13. শস্য-কোরবানীর জন্য প্রত্যেকটা ষাঁড়ের সংগে তেলের ময়ান দেওয়া পাঁচ কেজি চারশো গ্রাম মিহি ময়দা দিতে হবে; ভেড়াটার সংগে দিতে হবে তিন কেজি ছ’শো গ্রাম এবং প্রত্যেকটা বাচ্চা-ভেড়ার সংগে দিতে হবে এক কেজি আটশো গ্রাম। এটা পোড়ানো-কোরবানী, মাবুদের উদ্দেশে আগুন্তেদেওয়া একটা কোরবানী যার খোশবুতে মাবুদ খুশী হন।
14. ঢালন-কোরবানীর জন্য প্রত্যেকটা ষাঁড়ের সংগে পৌনে দুই লিটার আংগুর-রস দিতে হবে; ভেড়াটার সংগে দিতে হবে সোয়া লিটার এবং প্রত্যেকটা বাচ্চা-ভেড়ার সংগে দিতে হবে প্রায় এক লিটার। এটা হল মাসিক পোড়ানো-কোরবানী। বছরের প্রত্যেক মাসে এটা দিতে হবে।
15. নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী এবং তার সংগেকার ঢালন-কোরবানী ছাড়া একটা ছাগল দিয়ে গুনাহের কোরবানী দিতে হবে।
16. “বছরের প্রথম মাসের চৌদ্দ তারিখে মাবুদের উদ্দেশে উদ্ধার-ঈদ পালন করতে হবে।
17. সেই মাসের পনেরো তারিখে একটা ঈদ করতে হবে। তখন সাত দিন ধরে খামিহীন রুটি খেতে হবে।
18. প্রথম দিনে একটি পবিত্র মিলন-মাহ্ফিল করতে হবে এবং সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না।
19. সেই দিন মাবুদের উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানী হিসাবে দু’টা ষাঁড়, একটা ভেড়া এবং সাতটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া দিয়ে পোড়ানো-কোরবানী দিতে হবে। সেগুলোর প্রত্যেকটাকে নিখুঁত হতে হবে।
20-21. শস্য-কোরবানীর জন্য প্রত্যেকটা ষাঁড়ের সংগে তেলের ময়ান দেওয়া পাঁচ কেজি চারশো গ্রাম মিহি ময়দা দিতে হবে; ভেড়াটার সংগে দিতে হবে তিন কেজি ছ’শো গ্রাম এবং প্রত্যেকটা বাচ্চা-ভেড়ার সংগে দিতে হবে এক কেজি আটশো গ্রাম।
22. এগুলোর সংগে তোমাদের গুনাহ্ ঢাকা দেবার উদ্দেশ্যে গুনাহের কোরবানীর জন্য একটি ছাগলও আনতে হবে।
23. সকালবেলার নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী ছাড়া এই সব কোরবানীও দিতে হবে।
24. এইভাবে সাত দিনের প্রত্যেক দিন মাবুদকে খুশী করবার খোশবু হিসাবে এই সব খাবার দিয়ে আগুনে দেওয়া-কোরবানী দিতে হবে। নিয়মিত যে পোড়ানো-কোরবানী এবং তার সংগেকার ঢালন-কোরবানী রয়েছে তার উপর এটাও দিতে হবে।
25. সপ্তম দিনে একটি পবিত্র মিলন-মাহ্ফিল করবে এবং সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না।
26. “সাত সপ্তাহের ঈদের দিনে, অর্থাৎ প্রথমে তোলা ফসল কোরবানী করবার দিনে যখন তোমরা মাবুদের উদ্দেশে নতুন ফসল কোরবানী করবে সেই দিন তোমাদের একটি পবিত্র মিলন-মাহ্ফিল করতে হবে এবং সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না।
27. সেই দিন মাবুদকে খুশী করবার খোশবু হিসাবে তোমাদের দু’টা ষাঁড়, একটা ভেড়া এবং সাতটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া দিয়ে একটা পোড়ানো-কোরবানী দিতে হবে।